১৯৩০ সালে ইঞ্জিনিয়ার হোমার হেডলি ওয়াশিংটন হ্রদের উপর ভাসমান সেতু তৈরির প্রস্তাব দেন। প্রথম বিশ্বুযুদ্ধের সময় তিনি এর জন্য নকশা করাও শুরু করেন। এরপর ১৯৪০ সালের ৩ জুলাই সেতুটির উদ্বোধন হয়।
এই সেতুটির নাম রাখা হয় ‘দ্য লাসে ভি মেমোরিয়াল ব্রিজ’। যেটি সিয়াটেল এবং মার্সার দ্বীপের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করছে।
দ্য লাসে ভি মারো মেমোরিয়াল ব্রিজটি ৬ হাজার ৬২০ ফুট দীর্ঘ।
বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম ভাসমান সেতু এটি।
বিধ্বংসী ঝড়ের কারণে এই সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর, ১৯৯৩ সালে ফের নতুন করে সেতুটির নির্মাণ করা হয়।
এই সেতুটির ঠিক বাঁ দিকেই ১৯৮৯ সালের ৪ জুন আরও একটি স্থায়ী ভাসমান সেতু তৈরি করা হয়।
যে সেতুটি ইঞ্জিনিয়ার হোমার হেডলির নামেই উৎসর্গ করা হয়। নামকরণ করা হয় ‘হোমার এম হেডলি মেমোরিয়াল ব্রিজ’।
এই ভাসমান সেতুটি ৫ হাজার ৮১১ ফুট দীর্ঘ। এবং এই দৈর্ঘ্যের কারণেই সেতুটি বিশ্বের পঞ্চম দীর্ঘতম ভাসমান সেতুর স্থান দখল করেছে।
ওয়াশিংটন লেকের উপর ১৯৬৩ সালে তৈরি হয় ‘এভারগ্রিন পয়েন্ট ফ্লোটিং ব্রিজ’ যেটির সরকারি নাম ‘গভর্নর অ্যালবার্ট ডি রোজেলিনি ব্রিজ’।
এটিই বিশ্বের দীর্ঘতম ভাসমান সেতু। দৈর্ঘ্য ৭ হাজার ৫৭৮ ফুট।
সিয়াটেল থেকে মেডিনার মধ্যে সংযোগকারী এই সেতুটির অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে ২০১২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সেতুটিকে সংস্কার করার পর ২০১৬ সালের এ্রপ্রিলে ফের খুলে দেওয়া হয়। যদিও ২০১৬-র ২২ এপ্রিল থেকে সেতুর উপর সমস্ত রকমের ট্রাফিক বন্ধ রাখা হয়েছে।