নজরদার

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৫ ০০:০৯
Share:

এক দিন সকালে আমাদের উঠোনে দুটো কাঠবি়ড়ালীর বাচ্চা পড়ে খুব চেঁচাচ্ছে। পাছে কাক তুলে নিয়ে যায়, তাই বাবা বাচ্চা দুটোকে তুলে নিয়ে এল। তাদের খিদে পেয়েছে বুঝতে পেরে মা গুঁড়ো দুধ জলে গুলে তুলোর সলতে করে তাদের মুখে ধরতে তারা জিভ দিয়ে সেটাকে চেটে চেটে খেতে লাগল। এ দিকে বেলা বাড়লেও তাদের মায়ের ডাক শোনা গেল না। তাদেরকে একটা গামলায় চালুনি চাপা দিয়ে রাখা হল। এই ভাবে তারা দুধ এবং আটা গোলা খেয়ে একটু একটু করে বড় হতে লাগল। তারা যাতে গাছে চড়তে পারে, তাই দাদু তাদেরকে রোজ সকালে উঠোনের জবা গাছে রেখে দিত। পাতার আড়ালে থাকার জন্য কাক তাদের দেখতে পেত না। দুপুরবেলায় তাদেরকে ঘরে ঢুকিয়ে নেওয়া হত। বাবা তাদের জন্য পাকা কলা, পাকা পেয়ারা বাজার থেকে নিয়ে আসত। আমি দেখতাম সামনের পা দুটো দিয়ে মুখে ধরে ফলের টুকরোগুলোকে তাড়াতাড়ি করে খেত। এর বেশ কিছু দিন পরে এক দিন দেখি গামলায় যে খবরের কাগজ পেতে তাদের রাখা হত, সেইগুলো তারা দাঁত দিয়ে কাটছে। তাই দেখে মা তাদেরকে ধান দিত। আমি দেখতাম কী সুন্দর ভাবে ধানের খোসা ছাড়িয়ে চালটাকে খেয়ে নিত। মাস দেড়েক পরে তারা যখন ভাল ভাবে খেতে পারল, তখন তাদেরকে আমাদের পুরনো বাড়ির ঝোপজঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হল। আমার মনখারাপ হওয়ায় বাবা বলল, ওরা প্রকৃতির জীব, ওদের প্রকৃতিতে থাকাই ভাল।

Advertisement

আত্মদীপ রায়, দ্বিতীয় শ্রেণি, গুরুনানক পাবলিক স্কুল, আলমপুর, হাওড়া

Advertisement

বেশ থাকে ওরা রাস্তায় শুয়ে। মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ির দরজায়। দেখে লেজ নাড়ে, কুঁইকুঁই করে, কী ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে বিস্কুট খেতে দিই। পাড়ায় একটা শিব-দুর্গার মন্দির আছে। সকাল-সন্ধে ঘণ্টা, কাঁসর বাজিয়ে যেই পুজো শুরু হয়, আর অমনি তারস্বরে সব এই ভুলো কুকুরগুলো চিত্‌কার করে। ভেবে পাই না, কেন ওরকম করে?

নজরদার

চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:

নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,

৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন