ছবি: মহেশ্বর মণ্ডল।
রাতে ভেজানো পান্তাটা সকালে সময় নিয়ে কাঁচালঙ্কা ডলে খায় দুলাল। ক’ফোঁটা সর্ষের তেল ঢালে। কোনও দিন ছেলের বৌ এক দলা আলুসেদ্ধ ফেলে দেয় পাতে। তা-ই দুলালের রাজভোগ। মালতী বেঁচে থাকতে কখনও দুটো ডালের বড়া ভেজে দিত। কোনও দিন পাঁপড়।
খাওয়া শেষ করে প্যাডেলে টানা রিকশাটা নিয়ে রাস্তায় নামে দুলাল। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা রোজ একই রুটিন, হেরফের হয় না বড় একটা। প্যাসেঞ্জার খুব বেশি জোটে না অবশ্য। সবাই মোটরে টানা রিকশা বা টোটো খোঁজে। লোকের হাতে সময় বড় কম এখন। দু’-এক জনের যদি বা তাড়া না থাকে, তারাও রিকশাওয়ালার শরীরের অবস্থা দেখে বলে, “আহা, বুড়ো মানুষ। তুমি পারবে না।”
দুলাল ওদের বোঝাতে পারে না, রিকশার প্যাডেলে পা ছোঁয়ালে তার বুড়ো হাড় ভেলকি দেখায়। শরীরের অসুখবিসুখকে কোনও দিনই পাত্তা দেয়নি সে। কেউ কিছু বললে বলেছে, শরীর থাকলেই অসুখ থাকবে। রোগবালাইকে মাথায় চড়তে দিলে গ্যাঁট হয়ে বসে। ছেলে-বৌকেও সেই কথাই বোঝাতে চায়। ওরা বিরক্ত হয়। ছেলে রাখাল বলে, “তুমি এই ভাঙা শরিল নিয়ে রোদে ঘুরবে, সে তোমার ইচ্ছে। বৌকে ক্যান জোর করো জ্বরের বাচ্চাটারে চ্যান করাতে? ওইটুক বাচ্চা, পরে আরও জ্বর বাড়লে কে সামলাবে?”
দুলাল রাগ করে না। এক গাল হেসে বলে, “জ্বর হলগে শিবের তেজ, মাথা ফুঁড়ে ওঠে। মাথায় জল দিলেই ঠান্ডা। আমার মা বলত। লেপ-কম্বলে মুড়ে আতুপাতু করে রাখলে শরিলে বল হবে কোত্থেকে?”
“সবার শরিল তোমার মতো হয় না,” আঁধারমুখে বলে রাখাল।
তা মিথ্যে বলে না। শরীর ছিল বটে দুলালের। কালো পাথর কুঁদে বানানো আস্ত কালাপাহাড় যেন। প্যাডেলে পা ছুঁলে রিকশাখানা গড়িয়ে নয়, উড়ে চলত। চৈত্রমাসের কাঠ-ফাটা রোদ্দুরে সওয়ারি বসিয়ে যখন রিকশা টানত দুলাল, ঘাম গড়িয়ে নামত কপাল বেয়ে চোখে। নোনাজলের স্পর্শে কিচকিচ করত চোখ। ঘাড়ে আলগোছে ফেলে রাখা গামছাটা টেনে মুখ মুছে নিত সে। তবু পা থামত না। কমত না চাকার গতি।
সেই সতেরো বছর বয়স থেকে রিকশা টানছে। রোজ সকালে নিজে হাতে ধুলো মোছে। ভেজা ন্যাকড়া দিয়ে ঘষে ঘষে চকচকে করে ফেলে সিট। যত্ন করে বলেই না এত দিন টিকে আছে রিকশাখানা। সময়ে সময়ে চাকা বদলায়, বদলে যায় মাথার উপরের ঢাকা। রঙিন ফিতে, প্লাস্টিকের ফুল দিয়ে রিকশা সাজায় দুলাল নিজে হাতে। সাজাতে সাজাতে বকবক করে চলে একটানা।
বিয়ের পর পর মালতী নথ নেড়ে বলত, “রিকশা তো নয়, আমার সতিন।”
হাসত দুলাল। উত্তর দিত, “সতিন নয় রে, গরিব বাপের ঘরের রাজকন্যা বল। এ আছে বলেই না খেয়েপরে বাঁচছি? না থাকলে তোকে তুলতে পারতাম ঘরে এনে?”
রাতে পাশে শুয়ে মালতী দুলালের বুকের কাছটিতে মেনি বেড়ালের মতো গরগর করে বলত, “আমার চেয়ে রিকশাকে বেশি ভালবাসো তুমি।”
দুলাল নবপরিণীতা স্ত্রীকে টেনে নিত বুকের আরও কাছ ঘেঁষে। কানের কাছে মুখ নিয়ে বিড়বিড় করে জবাব দিত, “তা বাসি। ওই রিকশায় বসিয়ে ঘরে লক্ষ্মী এনেছি। সেও লক্ষ্মী, আমার ঘরে অন্ন জোগায়। গরিব বাপের দুঃখ বোঝে। আর তুই আমার অন্নপূর্ণা।”
মালতীর গরম নিঃশ্বাস ছুঁয়ে যেত দুলালের বুক। নিজেকে পূর্ণ বলে মনে হত। সে-সব ছিল সুখের দিন। রাখাল জন্মাল। আজও সেদিনের স্মৃতি দুলালের মনে উজ্জ্বল। সন্ধের সময় রিকশা নিয়ে বেরোনোর মুখে মালতী এসে দাঁড়িয়েছিল দুয়ারে। আঙুলে আঁচলের খুট জড়াতে জড়াতে বলেছিল, “শরীরটা ভাল বুঝছি নে কো। আজকের দিনটা না বেরোলে হয় না?”
এক মুহূর্ত থমকেছিল দুলাল। তার পর ফিরে এসেছিল। ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যে ব্যথা উঠলে তাকে রিকশায় বসিয়েই ছুটেছিল হাসপাতালে। দু’দিন পরে বাচ্চা কোলে নিয়ে যখন ফিরেছিল, তখন মালতীকে দেখাচ্ছিল রাজরানির মতো। ছেলের জন্ম উপলক্ষে রিকশার হুডে সাটিনের কাপড় লাগিয়েছিল দুলাল। পাড়ে লাল ফিতে কুঁচি করা। দুলালের আহ্লাদ দেখে মালতী হেসেছিল মুখ টিপে। দুলাল বলেছিল, “হাসিস না বৌ। আমার রাজকন্যা না থাকলে তোকে সেদিন সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারতাম? তোর জীবনের দায় নিয়ে ছুটেছিল ও। মনে রাখিস, এও তোর এক সন্তান।”
মালতীও মানত সে কথা। পুজাআচ্চা হলে সিঁদুরের টিপ আঁকত রিকশার হ্যান্ডেলে। মনে মনে বলত, “হেই গো মা, দেখে রেখো আমার সোয়ামিরে। পথেঘাটে রক্ষে কোরো। আমার সংসারে আলো করে থেকো।”
আজকাল বয়স হয়েছে দুলালের। অল্পতেই হাঁপ ধরে। পাথরের মতো শরীরেও ঘুণ ধরেছে। রাতবিরেতে কাশির দমক ওঠে। ছেলে রাগ করে। বলে, “এই বয়সে আর রিকশা নিয়ে রাস্তায় না নামলে হয় না? লোকে আমাকে মন্দ বলে। বলে, বুড়া বাপটাকে দিয়ে খাটায়। তোমাকে দু’টা ভাত-রুটি দেওয়ার সামত্থ আমার আছে।”
তা আছে, অস্বীকার করে না দুলাল। ছেলে লায়েক হয়েছে। সংসারের কর্তা সে। কাপড় কারখানায় কাজ করে। মাস গেলে যা পায়, তাতে সংসার চলে যায় কোনও মতে। দুলাল কতটুকুই বা আয় করতে পারে আজকাল! ওতে নিজের চা-বিড়ির খরচাটা ওঠে বড়জোর। তাই স্তিমিত কণ্ঠে বলে, “ঘরে বসে থাকলে শরিলে জং লাগে। বেশিক্ষণ তো রিকশা টানি না এখন। পথেঘাটে দু’-চার জন চেনামুখ দেখতে পাই। কথা বলি। মনটা ভাল লাগে।”
রাখালের ভুরুতে ভাঁজ। গজগজ করে বলে, “মন ভাল লাগে! আমার একটা মানসম্মান নাই? শ্বশুরবাড়িতে আবডালে কথা হয়, জামাইয়ের বাবা রিকশা চালায়। লজ্জায় মাথা কাটা যায় আমার।”
রাখালের অসন্তোষের কারণ বুঝতে আর অসুবিধে হয় না দুলালের। লজ্জাটা আসলে কার, সেটাও ভাল করেই বোঝে। প্রকাশ করে না। বরং মুখে হাসি টেনে বলে, “এই রিকশা টেনেই তো তোরে বড় করেছি রে হতভাগা। ও রিকশা নয়, আমার রাজকন্যা। লজ্জা পাবি ক্যানে?”
“হুঁ! থাকো তোমার রাজকন্যা নিয়ে!” বলে দুপদাপ করে পা ফেলে স্নানঘরে গিয়ে দোর দেয় রাখাল। বাপের সঙ্গে তক্কো করার সময় নেই তার। কারখানায় ঠিক সময়ে পৌঁছতে না পারলে টাকা কাটা যায়। দুলালের তাড়া নেই। সকালের নরম রোদে পিঠ মেলে খাটিয়ায় বসে থাকে সে। এই বয়সে স্মৃতিই সম্বল। কত কথা মনে পড়ে যায়। ছোট্ট রাখালকে রিকশায় বসিয়ে উঠোনে গোল হয়ে ঘুরত দুলাল। রাখাল হেসে কুটিপাটি হত। হাততালি দিত মহানন্দে। আর একটু বড় হলে এই রিকশাতেই তাকে ইশকুলে পৌঁছে দিয়ে আসত দুলাল। ছুটির সময় গেটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকত এক কোণে। ছুটির ঘণ্টা বাজলে রাখাল ছোট ছোট পায়ে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরত বাবার গলা। বলত, “এক্ষুনি-এক্ষুনি বাড়ি যাব না বাবা। ঘুরব।”
“এই রোদ্দুরে কই ঘুরবি বাপ আমার?”
ঠোঁট ওল্টাত রাখাল। দুলাল তখন ছেলের মান ভাঙানোর কাজে লেগে যেত। তার পক্ষিরাজ চলত উড়ে। সওয়ারি ছোট্ট রাখাল। দু’পাশে গাছ, বাড়ি, মন্দির পুকুরঘাট সরে সরে যেত ছায়াপটের মতো। ঠান্ডা হাওয়ার স্পর্শে রাখালের চোখ আসত জড়িয়ে। এলোমেলো চুলওয়ালা ছোট্ট মাথাটা নেমে আসত বুকের কাছে। তন্দ্রায় আচ্ছন্ন ছেলেকে কোলে জড়িয়ে নিত সে ডান হাতে। বাঁ হাতে হ্যান্ডেল ধরে রিকশা চালিয়ে ঘরে ফিরত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
ক’দিন ধরে রাতের দিকে ঘুসঘুসে জ্বর আসছে। বুকের উপর কেউ যেন দশমনি পাথর চাপিয়ে দিয়েছে। মাঝরাতে হাঁপের টান ওঠে। ঘুম আসে না। মনটাও ভাল নেই দুলালের। সপ্তাহখানেক আগে এক দিন রাখাল বাড়ি ফিরল মুখ কালো করে। কারখানা নাকি বিক্রি করে দেবে মালিক। ওই জমিতে বিল্ডিং উঠবে। দুলালের বুক কাঁপে। মুখে বলে, “বিক্রি করে দেবে বললেই হয়ে যায় নাকি? সময় তো লাগবে। তত দিনে নতুন কাজ খোঁজ। জোয়ান মানুষ, শরিলে বল আছে, ভয় কী?”
“ভয় কী?” খিঁচিয়ে ওঠে রাখাল, “তুমি তো বলেই খালাস। চাকরির বাজার জানো? বড় বড় পাশ দেওয়া ছেলেপুলে বেকার বসে আছে, সেখানে আমি মাধ্যমিক ফেল। কে দেবে আমাকে কাজ?”
ছেলের মেজাজকে ভয় পায় দুলাল। তাড়াতাড়ি বলে ওঠে, “তাইতে কী? না খেয়ে তো আর মরবি না? আমাদের রিকশা আছে। বাপ-ব্যাটায় ভাগাভাগি করে চালাব।”
দু’চোখে আগুন উগরে পাতের ভাতে জল ঢেলে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় রাখাল। ওর বৌ পিছন-পিছন ছুটে যায় বারান্দা পর্যন্ত। ফিরে এসে খরখরে গলায় দুলালকে বলে, “বুড়া বয়সে ভীমরতি ধরছে?”
রাখাল বাড়ি ফেরে মধ্যরাত উজিয়ে, টলোমলো পায়ে। দরজার বাইরে অকথ্য গালিগালাজ শুনতে পায় দুলাল। ঘুমের ভান করে বিছানায় পড়ে থাকে। বুকে জ্বালা, কাশির দমক চেপে রাখে প্রাণপণ শক্তিতে। বুক ফেটে বেরিয়ে আসতে চায় কলজে।
সকালে চোখ সাদা হলে বাপের কাছে এসে বসল রাখাল। বলল, “ঠিক করছি, একটা টোটো কিনব। পল্টুদার সঙ্গে কথা হয়েছে। কম টাকায় ছেকেন হ্যান্ড গাড়ির ব্যবস্থা করে দেবে।”
দুলাল চুপ করে তাকিয়ে থাকে ছেলের মুখে দিকে। কী যেন একটা আশঙ্কা কুটকুট করে বুকের মধ্যে। রাখাল আবারও বলল, “তোমার বৌমার গয়না বন্ধক দেব। তাতে সবটা টাকা হবে না। রিকশাটা বেচে দেব। খদ্দের ঠিক হয়ে গেছে।”
“ঠিক হয়ে গেছে মানে?” স্খলিত স্বরে জিজ্ঞাসা করে দুলাল।
“মানে আবার কী? ওই পুরনো রিকশা বেচে সোনাদানা পাব নাকি? লোহার দরে যা পাওয়া যায়। আমার কাছে সামান্য কিছু জমা টাকা আছে। সব মিলে টোটো হয়ে যাবে, হিসেব করে দেখেছি।”
“লোহার দরে বেচে দিবি?”
“তা না তো কী? আজকাল প্যাডেলের রিকশায় কে চড়ে? বেচতে না চাও বেচো না। নগদ টাকাটা আমাকে দিয়ে দাও তা হলে।”
“আমি? আমি কোথায় পাব টাকা?”
“পাবে না তো চুপ মেরে থাকো। ম্যালা ঝামেলি কোরো না। এমনিতেই মটকা গরম আছে। বেশি কথা বললে গুরুজন মানব না বলে দিলাম।”
কথা বলতে পারে না দুলাল। গলার কাছে একটা কাঁটা ফুটে থাকে। ঢোঁক গিলতে কষ্ট হয়। বেলা গড়ায়। একা একা রিকশার গায়ে হাত বোলায় সে। বিড়বিড় করে কথা বলে কত। মালতীর মুখ মনে পড়ে। শেষ সময় তখন তার। হাসপাতালের ডাক্তারবাবু বলেছিলেন, “এখানে রেখে কী করবে? আর আশা নেই। বাড়ি নিয়ে যাও। যে ক’দিন বাঁচে, সংসারের মধ্যে বাঁচুক।”
রোগা শরীরটা আরও শুকিয়ে কাঠি হয়ে গেছিল মালতীর। চোখের নীচে জমা অন্ধকার। দুটো কথা বলতেও কষ্ট। রাখাল মাকে জড়িয়ে ধরে বসে ছিল রিকশায়। চালাচ্ছিল দুলাল। সেই প্রথম বার প্যাডেলের উপর পা যেন বইছিল না। মনে হচ্ছিল, শরীরের শেষ শক্তিটুকু শুষে নিয়েছে কেউ। বাড়ি ফিরে পাঁজাকোলা করে মালতীকে নামিয়ে ঘরে নিয়ে গেছিল সে। ওর শুকনো গালে তখন সেই প্রথম রাতের মতো লালচে ছোপ। ক্ষীণ হেসে বলেছিল, “আহা, ছেলে বড় হয়েছে না! কী ভাববে!”
পরদিন রাতের বেলা চলে গেল মালতী। দুলালের পৃথিবী শূন্য হয়ে গেল রাতারাতি। এখন রিকশার সিটে হাত বোলাতে বোলাতে মনে হল, এখানেই বসেছিল মালতী, নতুন বৌ হয়ে আসার দিন। শেষ দিনও। কী আশ্চর্য! তার পরও তো দুলাল বেঁচে থেকেছে। ভাত খেয়েছে। রিকশায় প্যাসেঞ্জার টেনেছে, তাদের পৌঁছে দিয়েছে গন্তব্যে।
সূর্য পশ্চিমে ঢলে, রিকশার মেঝেতে একা একা বসে ঝিমোয় দুলাল। রাখালের বৌ দুপুরে ঘুমোয়। তার ওঠার সময় হল। আর দেরি করা চলে না। রিকশা রাস্তায় নামল সে। দুর্বল শরীরে প্যাডেলে চাপ দিল। বিড়বিড় করে বলল, “শুনলি তো মেয়ে, যন্তর আসবে। রাক্ষসী রানি ঘরে এসে লক্ষ্মী সেজে বসবে। আর তোকে… তোকে… লোহার দরে…”
আর বলতে পারে না। গলা কাঁপে, কাঁপে পা-ও। তবু কে জানে কেমন করে আজ যেন তার রাজকন্যাও জেগে উঠেছে ঘুম ভেঙে। হয়তো সেও বুঝেছে, রাক্ষসের কবল থেকে পালাতে হবে।
রিকশা চালিয়ে চলেছে দুলাল, তার আজন্ম চেনা রাস্তা, বটগাছ, পুকুরঘাট, ভাঙা মন্দির পেরিয়ে। দুর্বল শরীর জবাব দিতে চায়। দুলাল প্যাডেলে চাপ বাড়ায়। চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। ডান হাতে বুক চেপে ধরে সে।
লোকের মুখে খবর পেয়ে যত ক্ষণে এসে পৌঁছয় রাখাল, দুলাল সব হিসেব-নিকেশের নাগাল ছাড়িয়ে পালিয়ে গেছে অনেক দূরে। শুধু শরীরটা পড়ে আছে মাটির উপরে, যেন ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে নিশ্চিন্তে। তখনও পরম মমতায় তার বুকে জড়িয়ে ধরা রিকশার একটা প্যাডেল।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে