লেজ নাড়ে আনন্দে
বাড়ির উঠোনে ছোট্ট দুটি বিড়ালছানা সারা দিন ঘুরে বেড়াত। দুপুরে খাওয়ার সময় রান্নাঘরের সামনে বসে মিঁউ মিঁউ করত, যতক্ষণ না তাদের খেতে দেওয়া হত। কিন্তু এক দিন গলির কুকুরটা তাদের খাবারের সন্ধান পেয়ে গেল। মা বিড়ালছানা দুটোকে খেতে দিয়ে যেই চলে আসত, অমনি সুযোগ বুঝে কুকুরটা সব খেয়ে নিত। আর বিড়ালছানা দুটো ভয়ে দূরে সরে যেত। কুকুরটা খেয়ে চলে গেলে বিড়ালছানা দুটো আবার খিদের চোটে মিঁউ মিঁউ করত। তাই দেখে ভারী কষ্ট পেতাম। কিন্তু এক দিন মজার কাণ্ড হল। মা দরজায় তালা লাগিয়ে বাইরে কুকুরটাকে খেতে দিল। আর দরজার ভিতরে বিড়ালছানা দুটোকে খেতে দিল। প্রত্যেকে পেট ভরে খেয়ে আনন্দে লেজ নাড়তে নাড়তে যে যার জায়গায় চলে গেল।
ধীমান বেলেল। তৃতীয় শ্রেণি, শিশুসদন বাঁদপুর, হুগলি
আমাদের অতিথি
বাগানের একটি ফুলের গাছে কয়েক দিন ধরে লক্ষ করছি একটা বুলবুলির আনাগোনা। পাখিটা মুখে করে খড়ের টুকরো, শুকনো গাছের সরু ডাল এনে তৈরি করে ফেলেছে গোল মতো সুন্দর একটি বাসা। গাছের উপরটা আমাদের দোতলা থেকে ভাল ভাবে দেখা যায়। এক দিন স্কুলে যাবার আগে দেখতে পেলাম বাসার ভেতর দুটো ছোট্ট ডিম। মা-পাখিটা তখন বাসায় ছিল না। হয়তো খাবার খেতে বাইরে গিয়েছিল। স্কুল থেকে ফিরে দেখলাম মা পাখি ডিমের উপর বসে আছে।
মাকে জিজ্ঞাসা করলাম, পাখিটা ডিমের উপর কেন বসে আছে? মা বলল, দেখো ক’দিনের মধ্যেই ডিম ফুটে পাখির ছানা বের হবে। হ্যাঁ, ঠিক তাই! কিছু দিন পরেই দেখি লাল টুকটুকে দুটো পুঁচকে পাখির ছানা। মা-পাখি মুখে করে খাবার এনে দিচ্ছে আর ছানাগুলো দিব্যি তা খাচ্ছে। কয়েক দিন পর দেখলাম ওদের ছোট ছোট পালক, ডানা হয়েছে। তার পর তো ছানাগুলো উড়তেও শিখে গেল। ওরা এখনও আমাদের অতিথি হয়েই আছে।
রাজন্য দাস। ট্রানজিশন, বিবেকানন্দ মিশন স্কুল, জোকা
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার?
যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর,
গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ,
বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে
মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের।
খামের উপরে লেখো: নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১