ইসকুলে মুশকিল

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৪ ০০:০০
Share:

আমি মোটা আর তোতলা বলে আমার বন্ধুরা আমায় খেলায় নিতে চায় না। আবার খেলার সময় কেউ অকারণে আমায় মারলে, আমি যদি পাল্টা তাকে মারি, তা হলে সে আমাকে আরও জোরে মারে। কী করব?

Advertisement

শুভার্থী বিশ্বাস। পঞ্চম শ্রেণি, উত্তরপাড়া মডেল হাই (বয়েজ) স্কুল

Advertisement

শুভার্থী, তুমি খেলা না পারলে বন্ধুরা তোমায় খেলায় নেবে কেন? আর এত অল্প বয়সে তুমি এত মোটাই বা হবে কেন যে খেলতে পারো না? ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম আর খাওয়া নিয়ন্ত্রিত করে, শরীরটা ফিট করে নাও। তা হলে, বন্ধুদের সঙ্গে খেলায় আর অসুবিধে হবে না।

আর খেলার সময় একটু-আধটু মারামারি হয়ে থাকে। তুমি যদি নিজের শরীর ফিট করে নাও, তা হলে তোমাকে লোকে মারবার আগে দু’বার ভাববে। তুমি তখন নিজেকে বাঁচাতে পারবে। সুতরাং, শরীরটা ঠিক করার জন্য উঠে-পড়ে লাগো।

আমি ক্লাসের ফার্স্ট বয়। আমাকে বন্ধুরা ‘ধোঁকা’ বলে সম্বোধন করে লজ্জায় ফেলে দেয়। আর আমি ঝগড়া করতে পারি না বলে সেকেন্ড গার্ল আমায় প্রতিপদক্ষেপে হেনস্তা করে। এই সমস্যা থেকে বেরব কী ভাবে?

সৌম্যজিত্‌ পাল। সপ্তম শ্রেণি, লাকুডি বিদ্যামন্দির, বর্ধমান

রইল সেকেন্ড গার্লের কথা। যেখানে যুক্তিসঙ্গত, সেখানে তোমায় প্রতিবাদ করা শিখতে হবে। ঝগড়া না করে, তুমি তোমার বন্ধুর সঙ্গে কথা বলো, তার প্রশ্নের উত্তর দাও এবং প্রয়োজনে শিক্ষকদের জানাও।

ক্লাসের একটি মেয়ে আমাকে এবং অন্য সবাইকেও খুব বিরক্ত করে। যা বলে, তা না করলে খিমচে দেয়। আমার প্রজেক্টের কাগজও ছিঁড়ে দিয়েছে। টিচারকে বললে খালি মিথ্যে কথা বলে।

প্রমিতা কুণ্ডু। পঞ্চম শ্রেণি, ইন্দিরা গাঁধী মেমোরিয়াল হাই স্কুল, বারাসাত

প্রমিতা, মনে হচ্ছে তোমার বন্ধুর কিছু অসুবিধে আছে। তোমার বাবা-মাকে বলে তোমাদের শিক্ষিকার কাছে সব কথা জানাও, যাতে তিনি মেয়েটির বাবা-মাকে জানাতে পারেন। তোমাদের স্কুলে যদি কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা থাকে, তা হলে মেয়েটির হয়তো কাউন্সেলিং প্রয়োজন হবে।

খামে ভরো মুশকিল

পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:

ইসকুলে মুশকিল,

রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,

৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,

কলকাতা ৭০০০০১

অ্যাসিসট্যান্ট চেম্বারে ঢুকে দেখে ডাক্তার ঘরে নাচানাচি করছে। অবাক হয়ে ডাক্তারকে প্রশ্ন করতে তিনি বললেন, বাইরে যে লোকটি বসে আছে, সে এক জন ট্র্যাফিক সার্জেন্ট। গেল মাসে আমাকে কেস দিয়ে ৮০০ টাকা নিয়েছিল। আজ ব্যাটাকে বাগে পেয়েছি।

পার্কে প্রেমিক প্রেমিকাকে বলল, তোমার চোখে গোটা পৃথিবী দেখতে পাই। অমনি কোথা থেকে এক গোয়ালা এসে ছেলেটাকে বলল, দাদা আমার গরুটা হারিয়েছে। কোথায় আছে,

দেখা যাচ্ছে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন