আজব খাওয়া
আমার মা যে ঘরে ছবি আঁকেন, সে ঘরে একটি ছোট গণেশ ও লক্ষ্মী ঠাকুর রাখার বাক্স আছে। মা রোজ তাতে সাদা ফুল, মানে সাদা কাঞ্চন ফুল ও বেলপাতা দিয়ে পুজো করেন। আমিও স্নান করে প্রতিদিন প্রণাম করি। স্কুল থেকে ফিরে রোজ লক্ষ করি বেলপাতা আছে, কিন্তু সাদা ফুলগুলো নেই। রোজই ভাবি, এটা কী করে হয়! এক রবিবার সারা দিন লক্ষ রাখলাম। অদ্ভুত একটা জিনিস চোখে পড়ল। ওই বাক্সে একটি টিকটিকি বসে আছে সাদা ফুলটা মুখে নিয়ে। কিছুক্ষণ পরে দেখলাম, ফুল গিলে ফেলেছে টিকটিকি। বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না, যে টিকটিকি পোকা ছেড়ে ফুল খায়!
আর্যদিত্য বিশ্বাস। অষ্টম শ্রেণি, পাঠভবন
কাকেদের সুইমিং পুল
আমাদের বাড়ির সামনে একটা নতুন একতলা বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। ওই বাড়ির মিস্ত্রি-মজুরদের ফেলা মুড়ি খেতে অনেক কাক হাজির হত। বাড়িটার ছাদ তৈরি হওয়ার পর মিস্ত্রিরা ছাদে জল জমিয়ে রেখেছিল। ওই জমা জলে, দুপুরবেলায় দল বেঁধে কাকেরা স্নান করত। হুড়োহুড়ি, ডানা ঝটপট, হুলস্থুল— যেন কাকেদের সুইমিং পুল, যেখানে কাকস্নান সেরেই বিকেলে সবাই ফুড়ুৎ।
সম্রাট ঘোষ। ষষ্ঠ শ্রেণি, শ্রীরামপুর ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন, হুগলি
ভূতুড়ে কাণ্ড
এক ঝড়-বৃষ্টির রাতে বাড়িতে একটা গুবরে পোকা এসেছিল। লোডশেডিং। হঠাৎ বিদ্যুতের আলোয় দেখলাম ঘরের পাপোশটা ক্রমশ এগোচ্ছে। বাবাকে বলাতে বাবা টর্চ জ্বালিয়ে পাপোশটা তুলে ধরাতে দেখলাম গুবরে পোকাটা পাপোশটা টেনে টেনে এগোচ্ছে। অবাক, এত ছোট্ট পোকার কী শক্তি!
শ্রেয়সী সাহা। ষষ্ঠ শ্রেণি, বর্ধমান পুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি,
পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল
টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও,
চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১