ডিমের চুপড়ি রান্নাঘরে রাখা থাকত। কিন্তু রোজই ঠাকুমাকে বলতে শুনি একটা করে ডিম চুপড়ি থেকে ভ্যানিশ। বাড়িতে এক ভুতুড়ে ব্যাপার চলছে। ঠিক করলাম ভূতকে ধরতে হবে। এক দিন বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে রান্নাঘরে একটি চেয়ারে চুপ করে প্রায় রাত তিনটে পর্যন্ত বসে রইলাম ভূত ধরার জন্য।
হঠাত্ দেখি, একটা ডিম চুপড়ি থেকে নেমে নর্দমার দিকে এগোচ্ছে। কাছে গিয়ে দেখি একটা ইঁদুর ডিমটাকে ধরেছে আর একটা ইঁদুর তার লেজটা ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পরের দিন সকালে বাড়ির সকলকে জানাই ভুতুড়ে ব্যাপারটি।
সৌপ্তীক বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তম শ্রেণি, সেন্ট মেরি অরফেনেজ অ্যান্ড ডে স্কুল
বন্ধু টিকটিকি
ঘরের দেওয়াল-আলমারির পাল্লায় একটা ছোট টিকটিকি রোজ এসে বসে থাকে পোকা ধরে খাবে বলে। ঘরে প্রচুর মশা হয়েছে। মা এক দিন দুপুরে মশা মেরে খাটের উপর রেখেছিল। আমি সেগুলো মাটিতে ফেলে দিয়েছিলাম। এর কিছুক্ষণ পর দেখি টিকটিকিটা মহানন্দে এসে ওদের খাচ্ছে। সেই থেকেই প্রত্যেক দিন আমি ওকে মশা মেরে খেতে দিই।
ও এখন সন্ধেবেলায় শিকার করে না। ও ঠিক আমার পড়ার সময় এসে বসে থাকে, আমার দেওয়া মশা খাবে বলে। এত দিন ও দূর থেকে মরা মশাগুলো খেত। এখন সাহস বাড়িয়ে একটু একটু কাছে আসে। ও আর আমাকে ভয় পায় না।
অস্মিতা সরকার। সপ্তম শ্রেণি, লরেটো কনভেন্ট স্কুল, আসানসোল
শিক্ষিত বাঁদর
বাড়ির পাশের তেঁতুল গাছে কয়েকটা বাঁদর থাকত। এক দিন দেখি বাড়ির উঠোনের কলটায় একটা বাঁদর জল খাচ্ছে। তার পর কলটা বন্ধ করে দিয়ে চলে গেল। এক দিন আমি কলটা খুলে রাখলাম। দেখলাম তেঁতুল গাছ থেকে বাঁদরটা নেমে এল কলটা বন্ধ করে দিয়ে চলে গেল।
গার্গী ভট্টাচার্য। সপ্তম শ্রেণি, আদি মহাকালী পাঠশালা, কলকাতা
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি,
পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা
এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের।
খামের উপরে লেখো: নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১