প্রবন্ধ ১

বসন্ত বাঁদরামি

এই ঋতুটাকে ক্রমাগত তোল্লাই দিয়ে দিয়ে বাঙালি মাথায় তুলেছে। সে-ও আবিরের বদলে সোয়াইন ফ্লু দাবড়ে মোচ্ছব জমিয়ে তুলছে।সত্যি বলছি, বসন্ত এসে গেছে বলে আমার কিস্যু আসে যায়নি। পাড়ায় আমগাছ আছে, মুকুলটুকুলের গন্ধ পাচ্ছি মাঝেসাঝে, কিন্তু ‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে’ মার্কা জিনিসপত্র তো কই চোখে পড়ছে না। খাস কলকাতায় শিমুল-পলাশের প্রশ্নই নেই। এ-দিক ও-দিক তাকালে ক’টা ঘাড়-মটকানো ডালিয়া চোখে পড়ছে শুধু, চাট্টি গাঁদাফুলও না।

Advertisement

শিশির রায়

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৫ ০১:০০
Share:

সত্যি বলছি, বসন্ত এসে গেছে বলে আমার কিস্যু আসে যায়নি। পাড়ায় আমগাছ আছে, মুকুলটুকুলের গন্ধ পাচ্ছি মাঝেসাঝে, কিন্তু ‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে’ মার্কা জিনিসপত্র তো কই চোখে পড়ছে না। খাস কলকাতায় শিমুল-পলাশের প্রশ্নই নেই। এ-দিক ও-দিক তাকালে ক’টা ঘাড়-মটকানো ডালিয়া চোখে পড়ছে শুধু, চাট্টি গাঁদাফুলও না। কোকিলের কুহুতান শুনছি, তবে রসালশাখে নয়, স্মার্টফোনের রিংটোনে। সকালে চোখের পাতা খুলতেই উদাসীবাবা বনে যাচ্ছি না, ব্রাশে পেস্টই লাগাচ্ছি শেভিং ক্রিম নয়। চাদ্দিক ঝলমলে রোদেলা বলে আমার জিন্দেগিও এক্সট্রা-ব্রাইট— এমন কিছু ভুলেও মনে হচ্ছে না। সব্বার মতো বাই ডিফল্ট প্রেম-প্রেমও পাচ্ছে না। বরং হেব্বি বিরক্ত লাগছে সময়ে পটি পাচ্ছে না বলে, পেলেও ঠিকঠাক হচ্ছে না বলে, হলেও অফিসে লেট হয়ে যাচ্ছে বলে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষার ন্যায় বসন্তেও সাত টাকা খুচরো দিতে পারছি না বলে অটোওয়ালার কাছে দাবড়ানি খাচ্ছি, মেট্রোয় প্রতিবন্ধী সিটে জায়গা পেয়ে গুছিয়ে বসতেই ঠিক সামনেটায় মূর্তিমান বিবেক দংশনের রূপ ধরে এসে দাঁড়াচ্ছে নড়বড়ে বুড়ো, ‘আজ নির্ঘাত অন্য কিছু দেবে’ ভেবে অফিস ক্যান্টিনে চকচকে চোখে টিফিন ডাব্বা খুলতেই ম্যাদাটে-মারা হাতরুটি আর ঘিনঘিনে আলু-সয়াবিন বেরিয়ে পড়ছে তীব্র ব্যঙ্গে। অন্যে শান্তিনিকেতনের টিকিট কাটছে আর আমি হিসেব কষছি সদ্য ভ্যালেন্টাইন্‌স ডে-তে এক বার পকেট খসেছে অতএব মন তুই নেক্সট থ্রি মান্থস কক্ষনও যাবি না ফ্লিপকার্ট-অ্যামাজনে বরং মন দিয়ে খুঁটিয়ে দেখ বাজেটে কোন কোনটের দাম কমল। গার্লফ্রেন্ড যখন নেকিয়ে বলছে ‘ইটস ফাল্গুন, নো?’ তখন আমি মনে মনে তুমুল খিস্তিয়ে ভাবছি ওরে ইটস মার্চ, আর আমাকে কড়কড়ে ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে সরকারের ঘরে, তুই ভাই এখন বাড়ি যা, উফ!

Advertisement

বসন্ত নাকি প্রেমের কাল, আকাশে-বাতাসে নাকি প্রেমরোগ ফিনকি দিয়ে উঠছে! কে বললে? আমি তো দেখছি আমার বাড়িতে জ্বর, পড়শির ঘুসঘুসে কাশি, তার পাশের ফ্ল্যাটে অ্যালার্জি আর ওপরতলায় খোসপাঁচড়া। নেহাত বসন্ত রোগটা এখনকার হাই-প্রোফাইল সব ব্যামোর ভিড়ে জুত করতে পারছে না, নইলে সে-ও খেল দেখাত। চাদ্দিকে রোগ-অসুখ বিজবিজ করছে, আর লোকে হোয়াটসঅ্যাপে গান চালাচালি, বসন্ত এসে গেছে! আকাট আর কাকে বলে! ও গানে এখন অধিকার শুধু ডাক্তারদের, বসন্ত এসে গেছে মানে চেম্বারও জমে গেছে! তোর এত পুলক কীসের! মাস্ক পরে থাক, গোটা কলকাতায় সোয়াইন ফ্লু! এরই মধ্যে ১৭১টা উইকেট স্যাটাস্যাট গন। কে জানে, নেক্সট ইয়র্কারটা তোরই কপালে নাচছে কি না! ওরে, জন্মিলে মরিতে হবে জানা কথা, তা বলে এই শুয়োরের জ্বরে মরলে মানসম্মান থাকবে!

আর অসুখবিসুখেরই বা দোষ কী! ঋতুটাই ওরম। হতচ্ছাড়া। টেম্পারামেন্টের কোনও ঠিক নেই, টেম্পারেচারেরও। মোক্ষম কথা বলে গিয়েছিলেন মার্ক টোয়েন সায়েব: ইন দ্য স্প্রিং, আই হ্যাভ কাউন্টেড ওয়ান থার্টি সিক্স ডিফারেন্ট কাইন্ডস অব ওয়েদার ইনসাইড অব টুয়েন্টি ফোর আওয়ার্স। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে একশো ছত্রিশ রকমের ওয়েদার যদিবা কিঞ্চিত্‌ বাড়াবাড়ি বলে মনে হয়, অন্তত ছত্রিশ রকমের টেম্পারেচার তো ঘটনা। ভোরটা শিরশির, দুপুরটা গনগন, বিকেলটা হু-হু, রাতটা উহু। শীত চলে গেছে ভেবে যেই না লেপকম্বলগুলো এবারকার জন্য তুলে দেওয়া হল, ও মা, শেষ রাতে হাড় কাঁপাচ্ছে! পর দিন মতির মা’র অবধারিত গজগজ, বললুম এখন ক্যঁাতাগুলো উপরে তুলোনি, সেই আমারে ডবল খাটতি হল! আজ দুপুরেই সাঁইসাঁই পাঁচে ফ্যান চালিয়ে শুয়েছেন, ও হরি, মাঝরাতে বউ ঠেলা ও ঠোনা মেরে তুলছে, ওঠো, ওঠো বলছি, রেগুলেটর দুয়ে করো! ‘এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো’ গাইতে গাইতে রাস্তা পেরচ্ছেন, কোত্থেকে এক পশলা এসে ঝুপ্পুস! সন্ধেয় একটা হালকা সোয়েটার বা পাতলা চাদর জড়িয়ে বেরোলেই হত, জাস্ট অফিশিয়ালি ‘শীত চলে গেছে’ অ্যানাউন্স ঘটেছে বলে, কাঁপতে কাঁপতেও একগাল বাসন্তী হিল্লোল দেখাতে হবে। একে কি হাফ-গ্রীষ্ম বলব, না সেমি-উইন্টার, না ন্যানো-মনসুন! এই ঋতুর কনসিসটেন্সি গ্রাফ পুরো পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের মতো, এই কাউকে আটানব্বইয়ে বান্ডিল করে দিল তো ওই হারল দুশো তেরো রানে! কে যে একে ঋতুরাজ নাম দিয়েছে কে জানে! রাজার মুড যদি এ হেন প্রহরে প্রহরে পালটায়, রাজ্য তো লাটে! নিজের রাজ্যটাকে দেখেও শিখলি নে বাপ!

Advertisement

ঠিকই আছে। বসন্তর জন্য যে বাঙালির এত্ত পরান পোড়ে, তার কারণ, এই ঋতুর মধ্যে সে নিজের নিয্যস চরিত্রটাকেই দেখতে পায়। এই সিজনটা যেমন, সেও তো তেমনই। কোনও কিছু ঠিক না থাকা, কোনও কিছু ঠিক না ভাবা একটা জাত। সে সারা দিন ফিলিম করবে ফিলিম করবে বলে লাফাচ্ছে, কিন্তু স্ক্রিপ্ট লেখেনি। ওটা ঘাটশিলা গিয়ে নির্জনে লিখবে, এখন বুকিং পাচ্ছে না। সে ছেলেকে ক্রিকেট কোচিং-এ দিয়েছে কিন্তু তা বলে অ্যানুয়াল পরীক্ষার সময় বরোদায় টুর্নামেন্ট খেলতে পাঠাবে না। ছেলে দু’নৌকোয় পা দিয়ে ওস্তাদ মাঝি হোক, এ-ই সে চায়। তা ছাড়া সে রোজই তক্ক করছে, জ্যোতিষ ইজ আ সায়েন্স, আর হাতের গোমেদ পোখরাজ সাবান দিয়ে এস্পেশাল সাফাই করতে করতে ভাবছে, এই লটারি লাগল! তা হলে যে-বসন্ত কিনা সকালে ভাবছে আমি অ্যাকচুয়ালি তেড়ে গ্রীষ্মকাল, আর শেষরাতে ভাবছে উঁহু আমি মনে হয় ভেরি মাচ শীত, তাকে জড়িয়ে ধরে ফেভারিট কোলবালিশ বানাবে না বাঙালি? এই যে ‘জীবনটাই অনিশ্চয়তায় ভরা’, ‘গরমেও আছি, নরমেও বাঁচি’ মানসিকতা, তারই মুখ সে দেখে বসন্তের আয়নায়।

আমি একটা আটার ফেলিয়োর, আমার জীবনটা ব্যর্থতার উনুনে ঝলসাচ্ছে, চাকরি-মাসমাইনে-ইনভেস্টমেন্ট-সম্পর্ক কোনও কিছুকেই আমি যে গুছিয়ে উঠতে পারি না, সেই সমস্ত আঁচ-তাত-অনিশ্চয়তা-অক্ষমতা-সিদ্ধান্তহীনতা আমি মূর্ত হতে দেখি এই ঋতুটায়। আর সত্যিই তো, সারা ক্ষণ ‘বাঙালির এটা নেই’, ‘বাঙালি ওটা পারে না’, কাঁহাতক আর শুনতে ভাল লাগে! তাই আমি জীবনের সব ‘না’কে, ‘নেই’কে ফুল-রং-প্রেম-আবির-উত্‌সবের সুগারকোটিংয়ে ঢেকে গ্লোরিয়াস গরীয়ান করে তুলি, এই বসন্তে। ওতে খানিক বিরহের রংতাপ্পি লাগাই, হু-হু দখিন হাওয়ার পাখায় আমার যাবতীয় ব্যর্থতাকে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।

আর উত্‌সব বলে উত্‌সব! মচ্ছবিয়ানায় দুর্গাপুজোকেও টেক্কা দেবে বসন্তোত্‌সব। এ দিকে ঢং আছে এক কাঁড়ি, সে ‘দোল’ বলে না কারণ ওতে কেমন রাধাকেষ্ট-হরেকেষ্ট মার্কা হিন্দু-হিন্দু গন্ধ, ‘হোলি’ বলে না কেননা ও পরব-টা তো পয়সাওলা অশিক্ষিত অবাঙালিদের। সে আগুল্ফ লিবারাল, তাই বচ্ছরের গোটা একটা ঋতুর নামেই বানিয়ে ফেলেছে একটা আদ্যন্ত নিউট্রাল, সেকুলার উত্‌সব। বসন্তোত্‌সব। এই উত্‌সবে বাধ্যতামূলক ভাবে শান্তিনিকেতন যেতে হয়, যাওয়ার আগে গড়িয়াহাট ও নিউ মার্কেট ঘেঁটে সমস্ত হলদে রঙের পোশাক কিনে ফেলতে হয়। কিন্তু শান্তিনিকেতন পৌঁছে সেই হলদে রংটাকেই ‘বাসন্তী’ বলাটা নিয়ম। জনসমক্ষে চেঁচিয়ে বলতে হয় আপনি শান্তিনিকেতনে ঠিক কোথায় উঠেছেন, এবং উত্‌সবের দিন যে-মুহূর্তে ‘ওরে গৃহবাসী খোল্‌, দ্বার খোল্‌’ শুরু হবে, আপনি দর্শক-ভিড়ে থাকবেন এক্কেবারে সামনে, যেখানে মহাকাশের তাবত্‌ স্যাটেলাইট আপনার ভাববিভোল বদনখানি ‘বসন্তোত্‌সবের মুখ’ বলে ধরবে। ধরবেই। এ-দিকে বৃন্দগান হয়: পুষ্পবনে পুষ্প নাহি... সেটুকু শুনেই কিছু আকাট গামবাট পলাশের ডাল মুড়োতে শুরু করে, কেন, ওই যে গাইলে পুষ্পবনে পুষ্প নাহি? তাই তো কচ্ছি! ‘আছে অন্তরে’টুকু তাকে শোনাবে, কার ঘাড়ে ক’টা মাথা?

শান্তিনিকেতন না গিয়েও যে ক্ষত্রিয়োচিত বসন্তোত্‌সব মানানো যায়, তার উদাহরণ আমার আপনার পাড়াতেই আছে। রং-খেলা। নিজেরা রং মেখে ভূত হয়ে, এবং এজ-সেক্স নির্বিশেষে অন্যের পেছনে ধাওয়া করে, তাকে রং মাখিয়ে ভূত করাটা এই সময় মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। ফাগ, আবির জাতীয় বস্তুও আছে, কিন্তু সেগুলোর ব্যবহার করলে আপনি বোরিং নির্বিষ নিরিমিষ ইত্যাদি আখ্যা পেতে পারেন। আসল জিনিস হল মার্কামারা লাল-হলুদ-সবুজ-বেগনি রং, যা মেখে বাঁদর সেজে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পাসপোর্ট পাওয়া যায়। সুবিধে আছে। আপনি কে, কালু না ভুলু না রামা না শ্যামা, কেউ চিনতে পারবে না। তুই কে ভাই? আরে মা, এটা আমি! মায়ের আঁচলধরা ছেলে ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’ গাইতে গাইতে বেপাড়ায় গিয়ে দিদি-বউদিদের অনেকটাই ছুঁয়ে দেয়। শাস্ত্রকাররা বলেছেন, দোলযাত্রার মধ্যে যৌনতার সাবটেক্সটটি গরগরিয়ে বিরাজমান। আর বাঙালি ও-কাজটিতে চিরকেলে ব্যাকবেঞ্চার, যা ভাবে তা করতে পারে না, ফ্যান্টাসি আর দীর্ঘশ্বাসই তার মনখারাপের দোসর। সে পড়াশোনা করা জাত, তার ‘বই’য়ে অনেক কাল আগেই লেখা ও গাওয়া হয়ে আছে, খেলব হোলি, রং দেব না, তাই কখনও হয়? এই থিয়োরিকে অ্যাপ্লাই করার সুবর্ণসুযোগ তার জীবনে বয়ে নিয়ে আসে বসন্ত। সে রং মেখে ও মাখিয়ে, বাঁদর হয়ে আদর পেতে চায়, তাই গোড়ার পিচকিরি-মগ-বালতি কিছু ক্ষণের মধ্যেই ছুড়ে ফেলে নিপুণ তুখড় হস্তশিল্পী হয়ে ওঠে। দুর্ভাগা অনেকে পাড়ার ছুঁড়িদের হাতের কাছে না পেয়ে রাস্তার নেড়িদেরই রঙে ছোপান। উত্‌সবের রভসে পাষাণ প্রাণও তরল হয়, ঠান্ডাই-ভাঙের শরবতের আর দোষ কী! কিছু গেলাসের নেশায় উত্তরোত্তর উত্‌সববাজির ডেসিবেল চড়তে থাকে। অবিরাম চিত্‌কার-শীত্‌কারে, অশেষ আদেখলাপনা-বেলেল্লাপনায় ধরাতল উথলে ওঠে। কোঁদলে ভরা এ বসন্ত আগে কখনও এসেছে কি না, ফি-বছর নতুন করে সন্দ হয়!

ক্ষেত্রবিশেষে বাঁদরামোর রূপ সফিস্টিকেটেডও হয়। টেলিভিশনেও এই সময় চ্যানেলে চ্যানেলে অনন্ত বসন্তবাজি। ঘোষক-সঞ্চালকরা কথা শুরু করছেন এই প্রিফিক্স দিয়ে: আকাশে-বাতাসে বসন্ত, ভালবাসার এই ঋতু... ইত্যাদি। আপনি জানলা দিয়ে বাইরে হাব্‌ল টেলিস্কোপ তাক করলেও বুঝে উঠতেও পারবেন না, আকাশে বসন্তটা ঠিক কোথায়, বাতাসে কত ইউনিট তার ঘনত্ব। গায়কদের অবস্থা আরও খারাপ। শীতকাল না যেতেই তাঁদের গীতবিতান খুলে বসতে হয়, বসন্তের গানগুলো ঠোঁটস্থ নইলে এ মরশুমে প্রোগ্রামগুলো কপালে জুটবে না। একই সঙ্গে কিছু বর্ষা-শরত্‌ ইত্যাদির গানও স্ট্যান্ডবাই তুলে রাখতে হয়, কে জানে যদি অনুষ্ঠানের দিন ওয়েদারটা বিট্রে করে! অনেক গায়ক অনুষ্ঠানের শুরুতেই এক মুখ হেসে বলেন, বসন্ত তো ফুলের সময়, প্রেমের সময়, কবিগুরু কী দারুণ ভালবাসার কথা লিখেছেন দেখুন এই গানটায়। আহা রে, যেন ওঁকে বর্ষাকালে জলসায় ডাকলে, ঠকঠকে শীতে ফাংশনে আহ্বান করলে, গনগনে গরমে কনসার্ট বসালে, উনি একই গীতবিতান খুলে একই অ্যামাউন্ট গদগদিয়ে বলতেন না, এ ঋতুই বেস্ট ঋতু, এ ঋতুই গাইতে হবে! এবং তখনও, প্রথমটা ‘দারুণ অগ্নিবাণে রে’ দিয়ে শুরু করে, অবধারিত মাখোমাখো প্রেমের গানগুলোই ফেঁদে বসতেন না মাঝ-মেনু’তে!

iwritemyright@gmail.com

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন