মিষ্টি যখন স্বাস্থ্যকর! ছবি : সংগৃহীত।
উৎসবশেষে অনেকেই গত কয়েক মাসের ভাঙা রুটিন জোড়া দিতে বসেছেন। বেড়ে যাওয়া ওজন কমাতেই হবে আগামী এক-দেড় মাসে। কারণ, তার পরে আবার অন্য উৎসব। বড় দিন, নববর্ষ। গোটা দুনিয়া যখন দারুণ পোশাক-আশাকে সাজবে, তখন নিশ্চয়ই আপনিও পিছিয়ে থাকতে চাইবেন না। কিন্তু গত কয়েক দিনের অনিয়মে অনেকেই মিষ্টিতে রাশ টানতে পারছেন না। সেই সমস্যার সমাধান হবে কিসে? ওজনই বা কী ভাবে কমবে।
পুষ্টিবিদেরা বলেন, খাওয়াদাওয়ার স্বাস্থ্যকর অভ্যাস শুরু করতে না পারলে, খাবারকেই স্বাস্থ্যকর বানিয়ে ফেলুন। ঠিক সে ভাবেই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে মেটাতে হলে মিষ্টিকেও স্বাস্থ্যকর বানাতে হয়। কিন্তু মিষ্টি কী করে স্বাস্থ্যকর হবে?
মাখানা আর টকদই দিয়ে তৈরি একটি পুডিং ওই স্বাস্থ্যকর মিষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, অথচ মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে ছাড়তে পারছেন না, এই রেসিপি তাঁদের কাজে লাগতে পারে। তবে এই মিষ্টিও দিনে এক বার খাওয়াই ভাল। তাই মিষ্টি খাওয়ার সবচেয়ে বেশি ইচ্ছে হয় যে সময়, এই খাবারটি বাঁচিয়ে রেখে দিন সেই সময়ের জন্য।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ: ২ কাপ মাখানা বা পদ্মের বীজের খই
দেড় টেবিল চামচ ভাল মানের মধু
১ কাপ জল ঝরানো টকদই
১/২ কাপ ভেজানো কাঠবাদাম খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে নেওয়া
১/২ চা চামচ এলাচগুঁড়ো
এক চিমটে গোলমরিচ
১/২ চা চামচ ঈষদুষ্ণ জলে ভিজিয়ে নেওয়া
প্রণালী: মাখানা শুকনো কড়াইয়ে আঁচে বসিয়ে মিনিট খানেক নেড়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, যাতে পুড়ে গিয়ে লালচে না হয়ে যায়। তার আগেই তুলে ফেলুন।
এ বার একটি ছোট হামানদিস্তায় কেশর খানিক গুঁড়িয়ে নিয়ে তা ঈষদুষ্ণ জলে ভিজিয়ে রাখুন মিনিট ২০।
ব্লেন্ডারে মাখানা, দই, জলে ভেজানো কেশর, কাঠবাদামের টুকরো, এলাচের গুঁড়ো, মধু এবং গোলমরিচ এক সঙ্গে দিয়ে ভাল ভাবে বেটে নিন।
এ বার ওই মিশ্রণ দু’টি কাপে ঢেলে উপরে সামান্য কেশর এবং কাঠবাদামের কুচি ছড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। পরে যখন মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হবে তখন খান।
টিপস: সামনে শীতকাল। কমলালেবুর মরসুম। চাইলে এই দই-মাখানার স্বাদে টাটকা কমলালেবুর স্বাদও জুড়ে দিতে পারেন। সাজানোর জন্য কমলালেবুর খোসায় পুডিং ডেলে তার উপরে ছড়িয়ে দিতে পারেন কমলালেবুর শাঁস।