জগন্নাথদেবের প্রিয় বড়াকান্টি পিঠায় মিষ্টিমুখ করুন উল্টোরথে। বানানোও সহজ। ছবি: সংগৃহীত।
জগন্নাথ, রথযাত্রা নিয়ে ওড়িশায় মাতামাতি ঠিকই, তবে বঙ্গেও কম উৎসাহ নেই। সে রথ হোক বা উল্টোরথ, পাঁপড়ভাজা, জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ এ রাজ্যে বহু পুরনো। চাইনিজ়, কন্টিনেন্টাল খাবারের রমরমা থাকলেও, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজনের রসনায় জিলিপি যে এখন প্রাসঙ্গিক, তা মালুম হয় রথের দিনে শহর থেকে শহরতলির মিষ্টির দোকানে চোখ রাখলেই। জিলিপি প্রেমে ইতি না টেনেও, উল্টোরথে তুলনামূলক কম মিষ্টির এবং স্বাস্থ্যকর জগন্নাথদেবের প্রিয় বড় কান্টি পিঠা চেখে দেখতে পারেন। জগন্নাথদেবের ৫৬ ভোগের এটিও একটি পদ। বানানোও বেশ সহজ। জিনিসপত্রও পাবেন হাতের কাছে।
উপকরণ
আধ কাপ গোবিন্দভোগ চাল
৮-১০টি গোলমরিচ
২-৩টি বড় এলাচ
আধ কাপ গুড়
২ টেবিল চামচ গাওয়া ঘি
আধ কাপ দুধ
২০ গ্রাম কিশমিশ
২০ গ্রাম পেস্তা কুচি
প্রণালী: গোবিন্দভোগ চাল ধুয়ে আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। জল ঝরিয়ে মিক্সারে দিন। যোগ করুন এলাচ, গোলমরিচ, গুড় এবং দুধ। সমস্ত উপকরণ ঘুরিয়ে নিন। কড়াইয়ে ঘি দিয়ে কিশমিশ ভেজে নিন। তার পর মিশ্রণটি দিয়ে খুব ভাল করে নাড়াচাড়া করতে থাকুন যত ক্ষণ না সেটি শুকিয়ে সন্দেশের মতো মণ্ড হয়ে যাচ্ছে। একটি ছোট পাত্রে বা কেক তৈরির টিনে ঘি মাখিয়ে মিশ্রণটি দিয়ে উপর থেকে সমান করে দিন। কিশমিশ পেস্তা ছড়িয়ে দিন। একটি কড়াইয়ে জল নিয়ে তার উপর স্ট্যান্ড রেখে কেকের পাত্রটি বসিয়ে দিন। গ্যাস অভেন জ্বালিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট ভাপে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে বড়া কান্টি পিঠা। ঠান্ডা করে ছুরি দিয়ে কেটে পরিবেশন করুন। যে হেতু এতে চিনির ব্যবহার হয় না এবং স্বাদ অনুযায়ী মিষ্টির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, এটি কিন্তু সেই দিক থেকে স্বাস্থ্যকর।