Palak Recipes

শীতের টাটকা পালং শাক দিয়ে কী কী রান্না করতে পারেন? রইল এক ডজন পালং শাকের রান্নার সন্ধান

পার্টির মরসুম। মরসুম পালংশাকেরও। এই সময় বাড়িতে অতিথি সমাগম হলে তাঁদের চিরাচরিত রান্না বা কেক-পেস্ট্রি না খাইয়ে শীতের টাটকা পালংশাক দিয়ে নতুন কিছু রান্না করে খাওয়াতে পারেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:০০
Share:

ছবি : সংগৃহীত।

শীতের তাজা পালং শাক দিয়ে নানা রকমের সুস্বাদু রান্না করা যায়। নিরামিষ আমিষ তো বটেই, পালং শাক দিয়ে বানিয়ে ফেলা যায় সুস্বাদু বিভিন্ন জলখাবারও। পালং শাক দিয়ে তৈরি তেমনই এক ডজন খাবারের সন্ধান জেনে নিন। পার্টির মরসুম। এই সময় বাড়িতে অতিথি সমাগম হলে তাঁদের চিরাচরিত রান্না বা কেক-পেস্ট্রি না খাইয়ে শীতের টাটকা পালংশাক দিয়ে নতুন কিছু রান্না করে খাওয়াতে পারেন। দুপুর, রাত বা জল খাবার যেকোনও সময়েরই খাবারের সঙ্গী হতে পারে পালং শাকের এই রান্নাগুলি।

Advertisement

নিরামিষ

পালং শাকের ঘণ্ট: ঘণ্ট পশ্চিমবঙ্গের আদি-অকৃত্রিম নিরামিষ রান্নার পদ্ধতির একটি। নানা সব্জি দিয়েই ঘণ্ট রান্নার চল আছে বঙ্গে। তবে শীতের পালংশাকের ঘণ্টের স্বাদ আলাদাই। আলু, বেগুন, সিম, মূলো ও বড়ি দিয়ে তৈরি এই পদটি শীতের দুপুরে ভাতের সঙ্গে থাকলে অন্য তরকারির দরকার পড়বে না।

Advertisement

পালং পনির: উত্তর ভারতের রান্না হলেও পালং পনির এখন বাঙালি ভোজনরসিকেরও প্রিয়। এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা সাধারণত পনির খেতে ভালবাসেন না। কিন্তি পালং পনির সামনে দেখলে না খেয়ে থাকতে পারেন না। সুস্বাদু মশলার ফোড়নে পালংশাক বাটার সঙ্গে মুখে দিলেই গলে যাওয়া পনির রুটি-পরোটার পাশে রাখলে আমিষ পদেরও প্রয়োজন হয় না।

ডাল-পালং: ডাল এবং শাক দিয়ে বহু ঐতিহ্যবাহী বাঙালি রান্না রয়েছে। শীতের পালংশাক দিয়ে মনের মতো স্বাদে বানিয়ে নেওয়া যায় ডাল-পালংও। মুগ বা মটর ডালের মধ্যে কুচানো পালং শাক আর সামান্য আদা-কাঁচা লঙ্কা বাটা দিয়ে এই ডাল খেতে হয় অতি সুস্বাদু।

পালং পোলাও বা খিচুড়ি : একেবারেই কঠিন রান্না নয়। খিচুড়ি বা পোলাও রান্নার জন্য যেসমস্ত মশলা পড়ে সেই মশলাই লাগবে। শুধু তার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে দিতে হবে ভাপিয়ে নেওয়া পালংশাক বাটা। পোলাওয়ের ক্ষেত্রে গরম মশলা, পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা দিলে খেতে ভাল লাগবে।

লেহসুনি পালং: মূল উপকরণ বলতে দু’টি পালংশাক এবং রসুন। সেই দু’টিকেই মশলা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে রাঁধা হয়। পালং শাকের ঘণ্ট খেতে ভালবাসে যে বাঙালি, তাঁদের মনে হতে পারে— ‘শুধু পালংশাক? কোনও সব্জি এমনকি পনিরও নেই! তা হলে খাবেটা কি’? পঞ্জাবে কিন্তু পালংশাকের ওই রান্না দিয়েই বজরার রুটি, নান বা পরোটা জমিয়ে খাওয়া হয়।

আমিষ

পালং চিকেন: সবুজ রঙের মুরগির মাংস। যা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যকর। রান্নাটি একেবারেই ঝামেলার নয়। সেই পেঁয়াজ-আদা-রসুন-গরম মশলা। তবে পালং চিকেনে এর সঙ্গে পড়বে একটু বেশি ধনেপাতা এবং কাঁচালঙ্কা বাটা। সঙ্গে কিছুটা লেবুর রসও। রুটি বা পরোটার সঙ্গে তো বটেই সাদা পোলাওয়ের সঙ্গেও এই পদ পরিবেশন করা যেতে পারে।

চিংড়ি দিয়ে বা মাছের মাথা দিয়ে পালং শাকের চচ্চড়ি : শিম-বেগুন-মুলো-কুমড়ো দিয়ে পালং শাকের চচ্চড়ি এমনিতেই সুস্বাদু। তবে তার সঙ্গে যদি থাকে মশলায় কষানো মাছের মাথা বা চিংড়ি মাছ, তবে সে স্বাদ ভোলার নয়।

গার্লিক স্পিনাচ প্রন: রান্নাটি বিদেশি তবে রান্না করা কঠিন নয়। রসুন, পালং শাক মাখন আর মাঝারি মাপের চিংড়ি দিয়ে এই রান্নাটি করে অতিথিদের খাওয়াতে পারেন। শীতের দুপুর বা রাতের খাবারের সঙ্গে ভাল লাগবে।

চিজ় স্পিনাচ ওমলেট: যেমন বানানো সহজ, তেমনই পুষ্টিকরও। শীতের প্রাতরাশের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে পালং শাকের ওমলেট, তিনটি ডিম, এক কাপ কুচনো পালংশাক, অল্প রসুন কুচি, গোলমরিচ, চিজ় এবং মাখন দিয়ে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু পালং ওমলেট।

জলখাবার

পালং লুচি বা পরোটা : পালং শাক ভাপিয়ে বেটে নিয়ে ময়দা বা আটার সঙ্গে মেখে নিন। চাইলে এতে জোয়ান, কালো জিরে, ধনেপাতা-রসুন-লঙ্কাবাটার মশলাও মিশিয়ে নিতে পারেন। এর পরে লুচি বা পরোটার লেচি তৈরি করে ভেজে নিলেই তৈরি পালং শাকের লুচি বা পরোটা।

পালং পাকোড়া: পালং শাক কুচিয়ে, তার মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন কুচি, বেসন, স্বাদ মতো নুন, লঙ্কা গুঁড়ো এবং সামান্য জল দিয়ে ভাল করে মেখে পকোড়া বানিয়ে নিন। মুচমুচে ওই পাকোড়া বানিয়ে বিকেলের চায়ের সাথে পরিবেশন করতে পারেন।

হরা ভরা কবাব: পালং শাক, কড়াইশুঁটি, ছোলার ডাল, পনির, আদা, কাঁচালঙ্কা, এবং বিভিন্ন মশলা দিয়ে তৈরি এক ধরনের সুস্বাদু নিরামিষ কবাব। যা প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং যেকোনও অনুষ্ঠানে নিরামিষভোজী অতিথিদের স্টার্টার হিসাবে দেওয়া যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement