বহরমপুরের জাতীয় সড়কে দাঁতালের দাপটে যানজট

তাঁর খেয়াল চেপেছে জাতীয় সড়ক ধরে দুলকি চালে হেঁটে বেড়াবেন। একটি বুনো দাঁতালের এ হেন খেয়ালের জেরেই রবিবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল বহরমপুরের জাতীয় সড়কের যান চলাচল ব্যবস্থা। নাকানিচোবানি খেতে হল পুলিশ-প্রশাসনকেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৫ ১৯:৩২
Share:

জঙ্গল ছেড়ে জাতীয় সড়কে দাঁতাল। মুর্শিদাবাদে।—নিজস্ব চিত্র।

তাঁর খেয়াল চেপেছে জাতীয় সড়ক ধরে দুলকি চালে হেঁটে বেড়াবেন। একটি বুনো দাঁতালের এ হেন খেয়ালের জেরেই রবিবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল বহরমপুরের জাতীয় সড়কের যান চলাচল ব্যবস্থা। নাকানিচোবানি খেতে হল পুলিশ-প্রশাসনকেও।

Advertisement

বন দফতর সূত্রে খবর, এ দিন ভোরে মুর্শিদাবাদের কোদলা থেকে ভাগীরথী নদী পেরিয়ে অপর প্রান্তের ভাবতায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর উঠে আসে একটি বুনো দাঁতাল। বাঁকুড়া থেকেই তা ভাবতায় আসে বলে অনুমান বন দফতরের। এর পর জাতীয় সড়ক ধরে হাঁটতে শুরু করে সে। কখনও রাস্তা থেকে নেমে এলাকায় বাসিন্দাদের বাড়ির বাগানে ঢুকে ফল-পাতা খায়। এর পর ফের রাস্তা ধরে চলতে শুরু করে। দাঁতালের এ হেন আচরণে ত্রাহি-রব ওঠে জেলা বন দফতরে। ব্যাপক যানজট দেখা দেয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। বন্ধ রাখা হয় এক দিকের লেন। কেবলমাত্র এক দিকের লেন ধরে গাড়ি চলাচল করতে থাকে।

খবর যায় রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণের কাছে। তাঁর নির্দেশে দাঁতাল ধরতে এলাকায় যায় বন দফতরের নদিয়া-মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ১২ জনের একটি হুলা পার্টির দল। ঘটনাস্থলে যান ওই রেঞ্জের সহ-বনাধিকারিক মৃণালকান্তি রায়-সহ ১৮ জন বন কর্মী। যান পুলিশকর্মীরাও। কিন্তু, সামলানো তো দূরে থাক সকলকে নাস্তানুবাদ করে ছাড়ে দাঁতালটি। দাঁতালটিকে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কব্জা করতে পারেননি তাঁরা। তবে জাতীয় সড়ক থেকে সেটি নেমে গিয়েছে বলে দাবি বন দফতরের। সেটিকে এখন চরমহুলা নামক একটি জায়গার পাট খেতে দেখা গিয়েছে। দাঁতালটিকে বীরভূম অথবা মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ হয়ে ঝাড়খণ্ডে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। পুলিশের অবশ্য দাবি, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে সকালে কিছু ক্ষণের জন্য যানজট হলেও, এখন পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement