ছবি- রয়টার্স
কপাল মন্দ দক্ষিণবঙ্গের। তবে বরাত ভালই বলতে হবে উত্তরবঙ্গের।
দক্ষিণবঙ্গের আকাশে মেঘে ঢাকা থাকবে চাঁদ। তাই শুক্রবার রাতে কলকাতায় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে উত্তরবঙ্গের আকাশে চাঁদ উঠবে। দার্জিলিঙ, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার আর কোচবিহারের আকাশ থাকবে একেবারেই মেঘমুক্ত। সেখান থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখার সুযোগ মিলবে, এমনটাই আশা করছেন আবহবিদরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মৌসুমী বর্ষারেখা এবং ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনায় আগামী ৪৮ ঘণ্টা মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। রাজ্যের পশ্চিমাংশের দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এমনকি, মুর্শিদাবাদ ও মালদাতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
আলিপুরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডের লাগোয়া ঘূর্ণাবর্ত এবং পশ্চিমবঙ্গের ওপরে একটি বর্ষারেখা রয়েছে। তার ওপর, বঙ্গোপসাগরের উত্তরে একটি নিম্নচাপও তৈরি হচ্ছে। এর প্রভাব রাজ্যে পড়বে কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না।
গণেশবাবুর কথায়, ‘‘রাজ্যের দক্ষিণ এবং পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হলেও, উত্তরের জেলাগুলির আকাশে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখার সম্ভাবনা যথেষ্টই।’’
আরও পড়ুন: চাঁদ কেন হয়ে যাবে ব্লাড মুন? কেন এত উজ্জ্বল হবে মঙ্গল?
কলকাতার বিড়লা তারামণ্ডলের অধিকর্তা, জ্যোতির্বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি জানিয়েছেন, ভারতীয় সময় রাত ১১.৫৪ মিনিটে শুরু হবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। চলবে রাত ১টা পর্যন্ত। তার পর রাত ১টায় শুরু হবে শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। তা শেষ হবে রাত ২.৪৩ মিনিটে। রাত ২.৪৩ মিনিটে ফের শুরু হবে আংশিক গ্রাস। যা শেষ হবে রাত ৩.৪৯ মিনিটে।
কিন্তু এর কোনও কিছুই কলকাতায় বসে দেখা যাবে না। ২১২৩ সালের ১৯ জুনে আবার সেই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। নাসার তথ্য অনুযায়ী, সেই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে ১ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ৬ সেকেন্ড ধরে। মানে, এ বারের চেয়ে ৩ মিনিটেরও বেশি।
আরও পড়ুন: আজ রাতে কোথায় কোথায় দেখা যাবে চন্দ্রগ্রহণ
তবে একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে চাঁদের দেখা না মিললেও, স্বস্তির খবর, গরম বাড়ার সম্ভাবনা নেই৷ উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হবে। তাই মৎস্যজীবীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।