কৃত্রিম বুদ্ধি ধ্বংস-দূত, বিকল্প গ্রহ চান হকিং

পরিবেশ-পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কম্পিউটারই সিদ্ধান্ত নিতে ও কাজ করতে শিখছে। এই উন্নতির বিরোধী নন হকিং।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৮
Share:

ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং।

একটু পা চালিয়ে ভাই— আগেও একাধিক বার এমন ডাক দিয়েছেন তিনি। হুঁশিয়ার করেছেন, আর কিছু দিনের মধ্যেই এই পৃথিবীর বাইরে কোথাও বিকল্প উপনিবেশ গড়তে না পারলে ধ্বংস হয়ে যাবে মানুষ। আজ ফের সেই হুঁশিয়ারি দিলেন ৭৫ বছর বয়সি ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। ধ্বংসের দূত হিসেবে চিহ্নিত করলেন, যন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধি তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-কে।

Advertisement

এই ক্ষেত্রটিতে উন্নতি হচ্ছে দ্রুত। পরিবেশ-পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কম্পিউটারই সিদ্ধান্ত নিতে ও কাজ করতে শিখছে। এই উন্নতির বিরোধী নন হকিং। গত বছরও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এআই বিভাগে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘কৃত্রিম বুদ্ধি সৃষ্টির লাভ বিপুল। আমাদের ভাবনাচিন্তাকে এআই দিয়ে যখন বহুগুণ বাড়িয়ে তোলা যাবে, কল্পনাও করতে পারি না, কোথায় গিয়ে পৌঁছব আমরা। হয় এটা মানুষের সেরা উদ্ভাবন, নয়তো সব চেয়ে খারাপ।’’

আজ কিন্তু খারাপ দিকটি নিয়েই বেশি ভাবিত হকিং। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, মানুষই তৈরি করছে কম্পিউটার ভাইরাস। যা ছড়িয়ে পড়ছে, কব্জা করছে অন্যের কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক। হকিংয়ের সন্দেহ, কিছু দিনের মধ্যেই কেউ না কেউ সাইবার দুনিয়াকে এমন মাত্রায় পৌঁছে দেবেন, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধির জোরেই যন্ত্র নিজের প্রতিরূপ তৈরি করতে শুরু করবে। এখনই নানা ক্ষেত্রে এই এআই-এর যে রকম ঢালাও ব্যবহার হচ্ছে, সে দিন আর দূরে নেই যখন, দাপটে মানুষকেও ছাপিয়ে যাবে ওই ‘ধীমান যন্ত্রেরা’। ‘সে হবে জীবনের এক নতুন রূপ।’

Advertisement

আজ হকিং শুনিয়েছেন আশঙ্কার কথা, ‘‘আমরা এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি, যেখান থেকে ফিরে আসার আর পথ নেই। বিপজ্জনক ভাবে বাড়ছে জনসংখ্যা। পৃথিবী আমাদের পক্ষে বড্ড ছোট হয়ে পড়ছে। নিজেদের ধ্বংস করার দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা। অবিলম্বে বাসযোগ্য অন্য কোনও গ্রহ খুঁজে বার করতেই হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement