জাতীয় স্তরে কয়থা স্কুলের খুদে বিজ্ঞানীরা

বিশেষ ভেষজ নির্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে ম্যালেরিয়া,ডেঙ্গু প্রভৃতি রোগের জীবানুবাহক মশাকে তাদের আঁতুড়ঘরেই বিনাশ করার কার্যকরী উপায় উদ্ভাবন করেছে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

২৭তম ‘ন্যাশনাল চাইল্ড সায়েন্টিস্ট ইউথ কংগ্রেস’-এর জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিল দুই খুদে বিজ্ঞানীর গবেষণালব্ধ প্রকল্প। গত ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় জনস্বাস্থ্য বিষয়ক তাদের প্রকল্প বিচারক-সহ উপস্থিত সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগদানের জন্য রাজ্যের সেরা ১৮টি গবেষণা-প্রকল্পের মধ্যে কয়থা হাই স্কুলের এই দুই খুদে বিজ্ঞানীর প্রকল্পকেও নির্বাচন করা হয়েছে। এরা দুজন হল অনিরুদ্ধ দাস ও রামিজ আকবর। তাদের ‘গাইড টিচার’ সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ কয়থা হাইস্কুলের জীববিদ্যার শিক্ষক।

Advertisement

বিশেষ ভেষজ নির্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে ম্যালেরিয়া,ডেঙ্গু প্রভৃতি রোগের জীবানুবাহক মশাকে তাদের আঁতুড়ঘরেই বিনাশ করার কার্যকরী উপায় উদ্ভাবন করেছে তারা। লার্ভা থেকে পূর্ণাঙ্গ দশায় পৌঁছনোর আগেই, জীবনচক্রে ব্যাঘাত ঘটিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মশাকে নির্মূল করার লক্ষ্যেই এই গবেষণা। মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের সংক্রমন রোধে এটি যে একটি কার্যকরী পদ্ধতি হয়ে উঠতে পারে, তার স্বীকৃতি ও প্রশংসাও মিলেছে বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে। এর আগের পর্যায়ে সিউড়ি বেণীমাধব হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত জেলা স্তরের প্রতিযোগিতায়, গবেষণার অভিনবত্বে অনিরুদ্ধ ও রামিজের এই বিজ্ঞান-প্রকল্পটি বিচারকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। জেলা স্তরের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন বোলপুরের স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক তারক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুরে জাতীয় স্তরের জন্য অনিরুদ্ধদের প্রকল্পটি মনোনীত হওয়ায় ‘গাইড-শিক্ষক’ সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদও আনন্দিত ও আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘‘অনিরুদ্ধদের প্রকল্পটি জাতীয় স্তরের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় আমরা খুবই উৎসাহিত হয়েছি। গ্রামীণ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান-মেধার যে অভাব নেই এই সাফল্য তারই প্রমাণ।’’ শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা স্বভাবতই তাদের বিদ্যালয়ের এই দুই ‘খুদে বিজ্ঞানী’র সাফল্যে গর্বিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন