US Moon Mission

চাঁদে নামার সময় পাথরে ‘হোঁচট’ খেল আমেরিকার ল্যান্ডার, আপাতত বিশ্রামে নোভা-সি

ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের তরফে চাঁদে ল্যান্ডার পাঠানো হয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ল্যান্ডারটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি অবতরণ করে। তবে সামান্য হোঁচট খেয়েছে ল্যান্ডার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩১
Share:

স্পেস এক্সের ল্যান্ডার নোভা-সি। ছবি: রয়টার্স।

চাঁদে ল্যান্ডার পাঠিয়েছে আমেরিকা। নাসার সহযোগিতায় বেসরকারি উদ্যোগে চাঁদে পাঠানো হয়েছে আইএম-১ অভিযানের নোভা-সি ল্যান্ডার। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান সফল হলেও চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময় সামান্য সমস্যা হয়েছে। ল্যান্ডারটি চাঁদের পাথুরে জমিতে ‘হোঁচট’ খেয়েছে। আপাতত সেটি ‘বিশ্রাম’ করছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

Advertisement

ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স চাঁদে এই ল্যান্ডার পাঠিয়েছে। চাঁদের মাটিতে এটি প্রথম কোনও বেসরকারি ল্যান্ডার। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্পেস এক্সের রকেটে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল নোভা-সি। তা চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে ২২ ফেব্রুয়ারি।

আমেরিকার ল্যান্ডারটির ছ’টি ছোট ছোট পা ছিল। সেগুলির মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডারের অবতরণ হয়েছে। জানা গিয়েছে, নামার সময়ে একটি পা চাঁদের পাথরের টুকরোয় ধাক্কা খায়। এর ফলে ওই ল্যান্ডারের ঠিক যেখানে অবতরণের কথা ছিল, তা থেকে সামান্য বিচ্যুতি ঘটেছে। এক পাশে সরে গিয়েছে ল্যান্ডারটি। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত ওই ল্যান্ডার বিশ্রামে রয়েছে। এর পর তা চাঁদে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান শুরু করবে।

Advertisement

ল্যান্ডার পাঠানোর জন্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুর নিকটবর্তী এলাকাকেই বেছে নিয়েছে স্পেস এক্স। দক্ষিণ মেরুর কাছে ‘ম্যালাপার্ট এ’ নামের একটি গর্তের সামনে ল্যান্ডারটি নামার কথা ছিল। সেখান থেকে আপাতত কিছুটা দূরে রয়েছে নোভা-সি।

সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাদের। পৃথিবী থেকে উপযুক্ত নির্দেশও পাঠানো হচ্ছে সেখানে। নাসা সরাসরি যুক্ত না থাকলেও স্পেস এক্সের সঙ্গে এই অভিযান সম্পর্কে চুক্তি হয়েছে আমেরিকার সরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার। ১১ কোটি ৮০ লক্ষ ডলারের সেই চুক্তি অনুযায়ী, চাঁদের মাটিতে নাসার হয়েও গবেষণা এবং অনুসন্ধান চালাবে নোভা-সি ল্যান্ডার।

নোভা-সিতে নাসার ছ’টি পেলোড রয়েছে। চাঁদের আবহাওয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাবে সেগুলি। চলতি দশকের শেষে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। তার আগে পৃথিবীর উপগ্রহটির পরিবেশ, আবহাওয়া সম্পর্কে খুঁটিনাটি গবেষণার জন্য স্পেস এক্সের অভিযানকেও কাজে লাগানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন