Science and Technology News

আইফোন টেন-এর নতুন ভার্সন কিনছেন? দেখে নিন এই বিষয়গুলি

তাতে ১০০০ ডলারের ফোনের দাম হওয়া উচিত মোটামুটি ৭২ হাজার টাকা, কিন্তু অ্যাপল তার নিজস্ব হিসেবে এক ডলারের মূল্য ধরেছে ১০০ ভারতীয় মুদ্রা বা ১০০ টাকা। ফলে দাম হচ্ছে ১ লক্ষ টাকা।

Advertisement

অর্চিষ্মান সাহা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৪৪
Share:

সম্প্রতি আই ফোনের নতুন সিরিজ লঞ্চ করেছে অ্যাপল।

দাম
সবার আগে দাম। অ্যাপল তাদের প্রতিটা প্রডাক্টের অস্বাভাবিক মূল্যের কোনও কারণ না দেখালেও প্রতি বছর সেই দামের সূচক উপরের দিকেই রেখেছে। সব থেকে মজার ব্যাপার, যদি ডলারের সঙ্গে ভারতীয় মুদ্রার বর্তমান তুলনা করা হয়, তা ৭১ থেকে ৭২ টাকার মধ্যে থাকছে। তাতে ১০০০ ডলারের ফোনের দাম হওয়া উচিত মোটামুটি ৭২ হাজার টাকা, কিন্তু অ্যাপল তার নিজস্ব হিসেবে এক ডলারের মূল্য ধরেছে ১০০ ভারতীয় মুদ্রা বা ১০০ টাকা। ফলে দাম হচ্ছে ১ লক্ষ টাকা। এবং ঠিক এই হিসেবে সর্বোচ্চ মডেলের দাম ১৪৪৯ ডলার বা ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯০০ টাকা!

আপডেট
যদি আপনার কাছে আইফোন টেন থাকে, তবে ঠিক এই মুহূর্তে আবার লাখখানেক টাকা খরচ করে নতুন আইফোন টেন এস নেওয়ার খুব একটা কারণ নেই। শুধু সোনালী রং বাদ দিয়ে বাহ্যিক কোনও পরিবর্তন নেই। ও দিকে সস্তার টেন আর মডেলটি আইফোন টেনের থেকে কম ক্ষমতাশালী, ক্যামেরা, ডিসপ্লে কোনওটাই অত ভাল নয়। আর টেন এস এবং টেন এস ম্যাক্স, নতুন প্রসেসর বা আরও উন্নত ডিসপ্লে দিলেও সাধারণ একটা প্রশ্ন করুন নিজেকে, বর্তমান আইফোন টেন এ যা পাচ্ছেন, সেটা যথেষ্ট নয় কি?

Advertisement

আরও পড়ুন: ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা ফোন আনছে স্যামসাং, জেনে নিন দাম আর ফিচার

অ্যাড অন
এখন বাজারে ১২ হাজারের ফোনের সঙ্গে টার্বো চার্জার দেয়। এতে অল্প সময় তাড়াতাড়ি ফোনে চার্জ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু লক্ষ টাকার আইফোন কিনলেও সে রকম কোনও বিশেষ চার্জার পাবেন না। অতিরিক্ত খরচ করতে হবে তার জন্য। এমনকি আইফোন টেন এর সঙ্গে একটি ডঙ্গল দিত, ফলে যারা এখনও ৩.৫ মিমি জ্যাকের হেডফোন ব্যবহার করেন, তারা সেটি ফোনে লাগিয়ে শুনতে পাবেন। কিন্তু, নতুন ফোনের সঙ্গে সেটাও বাদ। শুধু পুরনো হেডফোন ব্যবহার করার জন্যে আপনাকে ১৫০০ টাকা খরচ করতে হবে ডঙ্গল কিনতে, যা কিনা আগে ফোনের সঙ্গেই মিলত। এ ছাড়া ওয়্যারলেস চার্জের প্রযুক্তি আইফোনে থাকলেও আলাদা করে কিনতে হবে সেই চার্জার। প্রায় ১২ হাজার টাকা দিলে তবে পাবেন নিজস্ব হেডফোন।

Advertisement

সহজলভ্য, সস্তা

প্রিঅর্ডার চালু হয়ে গেলেও আইফোনের ডেলিভারি পেতে একটু সময় লাগবে। ফলে যারা পুজোয় নতুন আইফোন কিনে বন্ধুদের চমকে দেবেন ভেবেছিলেন, তাদের জন্যে সেরা উপায় আইফোন টেন কিনে নেওয়া। নতুন আপডেট আই-ওএস ১২ আসার পর মনে করা হচ্ছে, আগের থেকে কিছুটা হলেও দ্রুত কাজ করবে ফোনটি। আর দামের দিকেও কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে নতুন ফোন আসার পর।

আরও পড়ুন: আমরা একা নই! ব্রহ্মাণ্ডে এ বার আরও উন্নত সভ্যতা খুঁজবে নাসা

কাজেই নতুন ফোন বেরিয়েছে বলে একেবারে উন্মাদনায় মেতে না গিয়ে হিসেব করে দেখুন, আপনার ঠিক কতটা প্রয়োজন নতুন আইফোন? সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য আইফোন টেন-ও ‘ওভারকিল’। অত ক্ষমতাশালী প্রসেসর সাধারণ ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ করার জন্যে প্রয়োজন হয় না। ফলে, আরও এক বছর অপেক্ষা করুন, দেখুন নতুন কী আসে, তার পর না হয় আইফোন টেন বাতিলের খাতায় ফেলবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন