হুলাপার্টি এনে শেষ অবধি সাঁতুড়ি থেকে দাঁতালটিকে তাড়াতে সমর্থ হল বন দফতর। বুধবার রাত থেকে বিষ্ণুপুরের হুলাপার্টিকে নিয়ে দাঁতালটিকে তাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছিল। সাঁতুড়ি পেরিয়ে সেটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়ার শালতোড়া রেঞ্জ এলাকায়। সেখানে অভিযানে যোগ দেন শালতোড়ার বনকর্মীরা। ফলে রঘুনাথপুর ও শালতোড়া, দুই রেঞ্জের যৌথ অভিযানে দাঁতালটিকে বিহারীনাথ পাহাড়ের রাস্তা ধরানো সম্ভব হয়েছে। গত শনিবার বাঁকুড়ার তিলুড়ি থেকে পুরুলিয়ার সাঁতুড়িতে ঢুকে পড়েছিল একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল। দিন পাঁচেক ধরে এখানে বনকর্মীদের নাজেহাল করে ছেড়েছিল সেটি। বেশ কিছু দোকান ও ঘর ভেঙেছিল সে। বুধবার পুরুলিয়ার বন দফতর স্থির করে বিষ্ণুপুর থেকে প্রশিক্ষিত হুলাপার্টি এনে দাঁতালটিকে তাড়ানোর কাজ শুরু করা হবে। এ দিন রঘুনাথপুরের রেঞ্জ অফিসার সোমনাথ চৌধুরী বলেন, ‘‘হুলাপার্টির সাহায্যে আমাদের বনকর্মীরা দাঁতালটিকে তাড়ানোর কাজ শুরু করেছিল। বাঁকুড়ায় তাদের সঙ্গে যোগ দেন শালতোড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। যৌথ অভিযান চালিয়ে দাঁতালটিকে শেষ পর্যন্ত বিহারীনাথ পাহাড়ের রাস্তা ধরানো হয়েছে।’’