রামপুরহাট শহরে প্লাস্টিক ব্যবহারে আপাতত প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল প্রশাসন। রামপুরহাট মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস জানান, রামপুরহাট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন এবং সদস্যদের সঙ্গে শনিবার সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট পুরসভার পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রতিনিধিরা।
আলোচনায় ব্যবসায়ীদের পক্ষে আবেদন করা হয়, সামনে পুজোর মরসুম তাই ব্যবসায়ীরা অনেকে পুঁজি লাগিয়ে জিনিস পত্র বিক্রি করার জন্য অনেকেই প্লাস্টিক ব্যগ মজুত করে রেখেছেন। তাই প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার নিয়ে নিষেধেজ্ঞা পুজোর মরসুমের পর জারি করলে ভালো হয়। ব্যবসায়ীদের আর্থিক লোকসানের কথা মনে রেখে আপাতত পুজোর মরসুম পর্যন্ত ৪০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যাগের বিক্রি বা ব্যবহারে এখনই নিষেধাজ্ঞা লাগু হচ্ছে না। তবে প্লাস্টিকের কাপের বিক্রি এক মাসের মধ্যে বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে শনিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে রামপুরহাট শহরে ফুটপাত ভাঙ্গার ব্যপারে ফুটপাত দখল করে যে সমস্ত ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন নভেম্বর মাস থেকে তা ভাঙতে নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমাশাসক।
নির্দেশ না মানলে, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন বলে এসডিও জানান। এছাড়াও শহরের নিকাশি ব্যবস্থা জোরদার করার জন্যও সিধান্ত নেন তিনি। রামপুরহাট পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের সকালে চার ঘন্টা এবং বিকালে চার ঘন্টা কাজ করিয়ে তাঁদেরকে সরকার নির্ধারিত দৈনিক ২৪৫ টাকা করে দেওয়ার জন্য পুরপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন। এসডিও জানান ওই সমস্ত কর্মীদের রোটেশন করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমে থাকা জঞ্জাল এবং নিকাশি নালা পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা পুরসভাকে করতে হবে। পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন, “মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে পুরসভার দায়িত্ব থাকা সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এবং অস্থায়ী সুইপারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”
ধৃত স্বামী। বধূহত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার শ্যামপুরে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সুরজিৎ কুণ্ডুু। সোমবার ধৃতকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল-হাজতের নির্দেশ দেন। মাস তিনেক আগে ডিপিএল কলোনির বাসিন্দা লিপিকা কুণ্ডুর (২২) সঙ্গে বিয়ে হয় শ্যামপুর স্কুল মাঠের বাসিন্দা সুরজিতের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই লিপিকার উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার হত শ্বশুরবাড়িতে। রবিবার মারা যান লিপিকা। স্বামী সুরজিৎ, শাশুড়ি শিপ্রাদেবী ও বাবা সত্য কুণ্ডুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে লিপিকার পরিবার। পুলিশ জানায়, শ্বশুর ও শাশুড়ির খোঁজে তল্লাশি চলছে।