বৃষ্টিতে ব্যাহত হল হাতি তাড়ানোর অভিযান। ফলে পঞ্চকোট পাহাড়ে উঠে পড়া হাতি দু’টিকে বৃহস্পতিবার রাতে আর সরাতে পারেনি বনদফতর। রঘুনাথপুরের রেঞ্জ অফিসার সোমনাথ চৌধুরী বলেন, ‘‘দাঁতাল দু’টি পাহাড় থেকে কিছুটা নেমে পাহাড়বেড়া গ্রামের পাশের জঙ্গলে রয়েছে। শুক্রবার দিনভর তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। বৃষ্টি না হলে ফের অভিযান শুরু হবে।” তবে রাতে ওই এলাকায় আরও দু’টি কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে দাঁতাল দু’টি। নষ্ট করেছে কয়েক বিঘা ভুট্টার জমি। সোমবার রাতে সাঁতুড়ি থেকে নিতুড়িয়ার পঞ্চকোট পাহাড়ে ঢুকে পড়ে ওই দু’টি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল। তাদের তাড়াতে কার্যত ঘুম ছুটেছে বন দফতরের। বিষ্ণুপুর থেকে আনা হুলাপার্টিও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। গত চারদিনে ১৩টি কাঁচা বাড়ি, একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও মুড়ি তৈরির একটি ছোট কারখানা-সহ চারটি দোকান ভেঙে ধান, চাল, গম খেয়েছে তারা।