বন্যপ্রাণী হত্যা রুখতে নির্দেশ

বন্যপ্রাণী হত্যার তদন্তে নেমে বন আধিকারিক বা কর্মীদের গাফিলতি মিললে সঙ্গে সঙ্গে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। সম্প্রতি চিলাপাতার জঙ্গলে ফের গন্ডার মেরে খড়গ কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার পরেই বনকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৫ ০১:৫৩
Share:

বন্যপ্রাণী হত্যার তদন্তে নেমে বন আধিকারিক বা কর্মীদের গাফিলতি মিললে সঙ্গে সঙ্গে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। সম্প্রতি চিলাপাতার জঙ্গলে ফের গন্ডার মেরে খড়গ কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার পরেই বনকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বনমন্ত্রী বলেন, “দায়িত্বহীন বনাধিকারিক ও বনকর্মীদের সরানোর ব্যাপারে শীর্ষ বনকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্তে কর্মী আধিকারিক কারও গাফিলতি মিললে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে বলে শীর্ষ বনকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছি।” রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল আজম জাইদি জানান, বনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টি আমরা দেখছি। গন্ডার মারার ঘটনায় তদন্ত চলছে।

Advertisement

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত চোরাশিকার রুখতে ও জঙ্গল সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, বন দফতর, এসএসবি সহ বেশ কয়েকটি দফতরের কর্মী ও আধিকারিকদের নিয়ে তৈরী হয়েছে এই ইউনিট। বনকর্তারা জানান, এই ইউনিটের আলাদা অফিস তৈরি করে কাজ শুরু করতে কিছুটা সময় লাগবে। সেজন্য বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনে প্রাথমিক ভাবে কাজ শুরু করেছে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। গত মার্চ মাসে বীরপাড়া এলাকায় পুলিশ ও শীর্ষ বনকর্তাদের এক বৈঠকে স্থানীয় থানার আইসি, ওসি ও উত্তরবঙ্গের দুজন সহকারী বন্যপ্রাণী সহায়কে নিয়ে গঠন হয়েছে ওই গ্রুপ।

পরিবেশপ্রেমীদের একাংশ দাবি করেছেন, এমনিতে বনকর্মীদের সংখ্যা কম। জঙ্গলে নজরদারির কাজ ঠিকমত হয় না। পুলিশেও লোকবল কম। ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট বা স্পেশাল অপারেশন গ্রুপেও ওই একই বনকর্মী বা পুলিশকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। ফলে, কর্মীর অভাব মিটছে না।

Advertisement

এই অবস্থায়, পর পর বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনায় পরিবেশপ্রেমীরা ক্ষুব্ধ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ফ্রেবুয়ারি মাসে, জলদাপাড়ার জঙ্গল থেকে দু’টি গন্ডারের খড়্গহীন দেহ উদ্ধার হয়। মার্চ মাসে বক্সায় উদ্ধার হয় তিনটি গুলিবিদ্ধ দাঁতাল হাতির দেহ। তার মধ্যে দুটি হাতির দাঁত কেটে নিয়েছিল চোরাশিকারিরা। ফের ৪ জুলাই চিলাপাতার বানিয়া জঙ্গলে উদ্ধার হয় গুলিবিদ্ধ গন্ডারের খড়্গহীন দেহ। হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের মু্খপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট বা স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ কী করছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে বন্যপ্রাণী শিকার চলছেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন