সাফাইয়ে গাফিলতি, এলাকা আবর্জনাময়

বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের দু’ ধারে যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকে। আবর্জনা পড়ে থাকে ভিতরের রাস্তায়, ফাঁকা জমিতে। অভিযোগ, মহেশতলা পুরসভা নিয়মিত আবর্জনা সাফ না করায় এই অবস্থা। বাসিন্দারা জানান, সারা বছরই এই অবস্থা থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, মহেশতলা পুরসভা নিয়মিত আবর্জনা সাফ করে না। পুরসভার ময়লা তোলার কোনও নির্দিষ্ট নিয়মই নেই। সবটাই এজেন্সির দায়িত্বে। তাঁদের উপরে পুরসভার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৪৬
Share:

রাস্তার পাশে এ ভাবেই পড়ে থাকে আবর্জনা। —নিজস্ব চিত্র।

বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের দু’ ধারে যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকে। আবর্জনা পড়ে থাকে ভিতরের রাস্তায়, ফাঁকা জমিতে। অভিযোগ, মহেশতলা পুরসভা নিয়মিত আবর্জনা সাফ না করায় এই অবস্থা। বাসিন্দারা জানান, সারা বছরই এই অবস্থা থাকে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, মহেশতলা পুরসভা নিয়মিত আবর্জনা সাফ করে না। পুরসভার ময়লা তোলার কোনও নির্দিষ্ট নিয়মই নেই। সবটাই এজেন্সির দায়িত্বে। তাঁদের উপরে পুরসভার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের।

বাসিন্দারা জানান, বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের ধারে আক্রা স্টেশন রোড, মোল্লার গেট, রামনগর, সন্তোষপুর, মেমানপুর অঞ্চলে ময়লা পড়ে থাকে। পুরসভার ভিতরের রাস্তারও প্রায় একই অবস্থা। কোথাও কোথাও কন্টেনার উপচে আবর্জনা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক সময়ে বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের ধারের আবর্জনায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তখন ধোঁয়া আর দুর্গন্ধে দুর্বিষহ অবস্থা হয়।

Advertisement

শুধু রাস্তা নয়, কোথাও কোথাও বাড়ির পিছনে, ফাঁকা জমিতেও আবর্জনা জমে থাকে। আবর্জনার সমস্যায় জেরবার হচ্ছেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লি, আক্রা কৃষ্ণনগর, মহেশতলা চন্দননগর-সহ বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা। মোল্লার গেটের এক বাসিন্দা জানান, এটা পুরপ্রধানের ওয়ার্ড। তবু রাস্তার যেখানে-সেখানে ময়লা জমে থাকে। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমীরণ গুছাইত বলেন, “বছর পাঁচেক আগে পুরসভা থেকে প্রতিটি বাড়িতে দু’টি করে বালতি দেওয়া হয়েছিল। সাত-আট মাস হল পুরসভার ময়লা তোলার গাড়ি আসছে না। পুরপ্রধানকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি।” এক বাসিন্দা জানান, বাধ্য হয়ে অনেকে বাড়ির পিছনে বা ফাঁকা জমিতে আবর্জনা ফেলেন। মহেশতলা পুরসভার ২৪ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝে রয়েছে মণি খাল। বাসিন্দাদের একাংশ মণি খালেও আবর্জনা ফেলেন। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এমনিতেই জোয়ারের সময় এই খালধারের অনেক বাড়িতে জল ঢুকে যায়। আবর্জনা জমে খালের গতি আটকালে বর্ষায় পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।

পুরসভা সূত্রে খবর, বছর ছয়-সাত আগে যজ্ঞেশ্বরী সারেঙ্গাবাদের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে মহেশতলা পুর-এলাকার সংগৃহীত বর্জ্য থেকে সার তৈরির একটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। জৈব এবং অজৈব বর্জ্য আলাদা করে রাখার জন্য বাসিন্দাদের দু’টি করে বালতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ময়লা ঠিকমতো সংগ্রহ না হওয়ায় প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। যদিও পুরসভার দাবি, আবার প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে।

মহেশতলা পুরসভার পুরপ্রধান দুলাল দাস বলেন, “আগের থেকে মহেশতলা অনেক পরিচ্ছন্ন হয়েছে। পুরসভা রাস্তায় আবর্জনা ফেলে না। আগুনে পোড়ায় স্থানীয় লোকজন।” তিনি জানান, আবর্জনা সাফাইয়ের সমস্যা রয়েছে। আবর্জনা সংগ্রহের জন্য পুরসভা ৫২টি ছোট কন্টেনার বহনকারী গাড়ি কাজে লাগাবে। গাড়িতে হাইড্রোলিক কন্টেনার বসানো হবে। এর পরে ওই সব গাড়ি বাড়ি বাড়ি ময়লা সংগ্রহ করে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলবে।

রাস্তার ধারে আর কন্টেনার থাকবে না। আপাতত ২৬টি গাড়ি কেনা হয়েছে। তাতে কন্টেনার বসানোর কাজ চলছে। আর্থিক সমস্যার কারণে আগে এই ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি বলে পুরপ্রধান জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন