টানা চার দিন ধরে বনকর্মীদের নাজেহাল করে যাচ্ছে বাঁকুড়া থেকে পুরুলিয়ার সাঁতুড়িতে ঢুকে পড়া দাঁতালটি। এ বার তাই হাতিটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিষ্ণুপুর থেকে হুলাপার্টি নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিল বন দফতর। রঘুনাথপুরের রেঞ্জ অফিসার সোমনাথ চৌধুরী বলেন, ‘‘বনকর্মীরা ও বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যদের নিয়ে হাতিটিকে তাড়ানোর কাজ চলছে। সেটিকে বাঁকুড়ার দিকে তাড়িয়ে দেওয়া সত্ত্বেও বারবার ফের সাঁতুড়িতেই ফিরে আসছে। তাই এ বার প্রশিক্ষিত হুলাপার্টি এনে দাঁতালটিতে তাড়ানোর কাজ শুরু হবে।’’ গত শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার তিলুড়ি বিট এলাকা থেকে পুরুলিয়ার সাঁতুড়িতে ঢুকে পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সাঁতুড়ির লেদিয়াম, পিড়রগড়িয়া, নিমটুকরি, মানজুড়ি, জিয়াথোল গ্রামগুলিতে ঢুকে গোটা ছয়েক কাঁচা বাড়ি ও পাঁচটি দোকান ভেঙে ধান, চাল, ডাল, আলু খেয়েছে হাতিটি। এ দিকে গ্রামে হাতির উপদ্রব বন্ধ না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। বন দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘গ্রামবাসীর সমস্যার কথা আমরা জানি। বনকর্মীরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু দাঁতালটি পাঁচ কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। বাঁকুড়ার দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হলেও ফিরে আসছে।’’ এই অবস্থায় প্রশিক্ষিত হুলাপার্টি এনে দাঁতালটিকে তাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বনদফতর।