এক মাস হয়ে গেল বিষ্ণুপুর হয়ে তিন দফায় ৯০টি হাতি ঢুকেছে বন দফতরের বড়জোড়া রেঞ্জের জঙ্গলে। হাতির উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ওই জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। ওই জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়া বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়কও মাঝে মাঝে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে হাতির হামলায়। এই নিয়ে হাতি-মানুষ সংঘাত যেমন বাড়ছে, তেমনই হাতিদের সরাতে না পারায় গ্রামবাসীদের রোষের শিকার হচ্ছেন বনকর্মীরা। বুধবার রাতেও বেলশুলা গ্রামের আদিবাসী মহিলারা হাতি তাড়ানোর দাবিতে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন বনকর্মীদের। বড়জোড়া রেঞ্জের আধিকারিক মোহন শীট বৃহস্পতিবার বলেন, “গ্রামবাসীদের ক্ষোভ স্বাভাবিক। এক মাস হয়ে গেল ৯০টি হাতি এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা সরানোর বহু চেষ্টা করেও পেরে উঠছি না। হাতিগুলি এই মুহূর্তে গঙ্গাজলঘাটির রাধুরবাইদ গ্রামের দিকে এগিয়ে গেছে। আমরা এ দিন বিকেল থেকে জোর কদমে খেদানোর কাজে নামছি। তবে কতটা সাফল্য আসবে, বলা যাচ্ছে না।’’ বেলশুলা, ঘুটগেড়িয়া, সাহারজোড়ার বাসিন্দাদের ক্ষোভ, “সামনে পুজো। হাতির জন্য আমাদের জমির ফসলের দফারফা। ভয়ে ঘুম ছুটে যাওয়ার অবস্থা। দ্রুত সরানো না গেলে পুজোর আনন্দও মাটি হবে। বনকর্মীদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না।’’ বনকর্মীরা অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন, হাতির দলকে তাড়ানোর সব ধরনের চেষ্টা চলছে।