৩৫-এ মা হতে গেলে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে

বয়স বাড়লেই শুরু হয় নানা জটিলতা। অথচ চিকিত্সরা ও সঠিক লাইফস্টাইলের সাহায্যে ৩৫-এর পরও মা হওয়া কখনই কঠিন নয়। ঐশ্বর্যা রাই থেকে রানি মুখার্জি। এরা প্রত্যেকেই মা হয়েছেন ৩৫ পেরিয়ে গিয়ে। কেরিয়ারের চাপে অনেক মহিলাই এখন বিয়েই করেন বেশ কিছুটা দেরিতে। জেনে নিন ৩৫-এর পর মা হতে চাইলে কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৫:৫৬
Share:

বয়স বাড়লেই শুরু হয় নানা জটিলতা। অথচ চিকিত্সরা ও সঠিক লাইফস্টাইলের সাহায্যে ৩৫-এর পরও মা হওয়া কখনই কঠিন নয়। ঐশ্বর্যা রাই থেকে রানি মুখার্জি। এরা প্রত্যেকেই মা হয়েছেন ৩৫ পেরিয়ে গিয়ে। কেরিয়ারের চাপে অনেক মহিলাই এখন বিয়েই করেন বেশ কিছুটা দেরিতে। জেনে নিন ৩৫-এর পর মা হতে চাইলে কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।

Advertisement

১। প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিং- দেরিতে বিয়ে, মা হওয়ার টেনসন, বয়স বেড়ে যাওয়া এ সব নিয়ে চিন্তার কারণে অনেকেই নেগেটিভ হয়ে পড়েন। ফলে প্রেগন্যান্সি আরও কঠিন হয়ে পড়ে। তাই প্রয়োজন হলে প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিং-এর সাহায্য নিন। এতে আপনার অমূলক ভাবনা কেটে গিয়ে সঠিক দিশা পাবেন।

Advertisement

২। নেশা ছাড়ুন- যদি আপনার সিগারেট, মদ বা অতিরিক্ত কফির নেশা থেকে থাকে তাহলে অবিলম্বে ছেড়ে দিন। এই সব নেশা জীবনে স্ট্রেস বাড়ায়। ৩৫-এর পর মা হতে গেলে নেশা আপনাকে ছাড়তেই হবে।

৩। ডায়েট ও ওজন- বয়স যত বাড়ে ওজন ততই প্রভাব ফেলে সুস্থ প্রেগন্যান্সিতে। তাই ৩৫-এর পর মা হতে চাইলে ওজনের দিকে খেয়াল রাখুন। অতিরিক্ত বেশি ওজন বা অতিরিক্ত কম ওজন কোনওটাই কিন্তু ভাল নয়। ওভিউলেশনের উপর প্রভাব পড়ে। তাই ৩৫-এর মা হতে চাইলে সঠিক ওজন বজায় রাখুন। যার জন্য প্রয়োজন সঠিক ডায়েট। তাই খাওয়া দাওয়ার উপর নজর দিন। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি৬, সি, ই এবং বিটা ক্যারোটিন রাখুন ডায়েটে।

৪। স্ট্রেস ও এক্সারসাইজ- বয়স বাড়লে মা হওয়ার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্ট্রেস। প্রেগন্যান্ট হতে গেলে ও সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে গেলে স্ট্রেস কাটাতেই হবে। আর স্ট্রেস কাটানোর সবচেয়ে ভাল উপায় এক্সারসাইজ। এতে শারীরিক সুস্থতাও বাড়বে। শরীর প্রেগন্যান্সির জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারবে সহজে।

৫। সেক্স- বয়স বাড়লে নিয়মিত সেক্সের প্রয়োজন। প্রেগন্যান্ট হতে চাইলে তাই সেক্স লাইফের দিকে নজর রাখুন। চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত সেক্স করুন। ঋতুচক্রের গুরুত্বপূর্ণ দিন বুঝতে ওভিউলেশন কিটের সাহায্য নিন।

৬। থাইরয়েড- যদি থাইরয়েডের সমস্যা না থেকে থাকে তাহলে ৩৫-এর পর অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিন। যদি আগে থেকেই থাইরয়েডের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে মা হওয়ার আগে কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আনতেই হবে। না হলে জটিলতা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে।

৭। অ্যাকনে- স্ট্রেসের কারণে অ্যাকনে খুবই সাধারণ সমস্যা। অথচ এই অ্যাকনের ওষুধ থেকেই দেখা দিতে পারে শারীরিক জটিলতা। বিশেষত বয়স ৩৫-এর কোঠা পেরিয়ে গেলে। তাই চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ থেকে বিরত থাকুন।

৮। পজিটিভ থাকুন- বার বার চেষ্টা করেও প্রেগন্যান্ট হতে না পারা, মিসক্যারেজ-এই সব কারণে অনেকেই আশাহত হয়ে পড়েন। এই অবস্থায় মা হওয়া কখনই সম্ভব নয়। ভেঙে পড়বেন না। আশা রাখুন, পজিটিভ থাকুন।

এই সংক্রান্ত আরও খবর...

যে বলি নায়িকারা মা হয়েছেন বেশি বয়সে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন