বেশ কিছু দিন ধরে প্রেগন্যান্ট হতে চাইছেন। সেই মতো চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন। পিরিয়ড মিস হচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়ালও রাখছেন। নির্দিষ্ট দিন পেরিয়ে গেলেই করে ফেলবেন প্রেগন্যান্সি টেস্ট। পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার অপেক্ষায় থকবেন না। কিছু লক্ষণ দেখা দিলে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করিয়ে নিন। জেনে নিন কী কী লক্ষণ দেখা দিলে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করাবেন।
১। নরম, ভারী স্তন- গর্ভে ভ্রুণসঞ্চার হলে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে স্তন ভারী হয়ে আসতে থাকে। এটাই প্রেগন্যান্সির প্রথম লক্ষণ। যদি আপনার স্তনে এ রকম পরিবর্তন আসে তাহলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করিয়ে নিন।
২। ক্লান্তি- যে দিন প্রচুর খাটনি হয়, বা খাড়া পাহাড়ে চড়ার পর কেমন ক্লান্ত লাগে, হাঁপিয়ে ওঠেন দেখেছেন তো? যদি কোনও কারণ ছাড়ি সারা দিন ক্লান্ত লাগে তবে আপনার গর্ভে সন্তান এসে গিয়েছে। গর্ভবস্থার প্রথম দিকে শরীর শিশুর জন্য তৈরি হয়। হঠাত্ করে শরীরে প্লাসেন্টার আগমনের জন্য ক্লান্ত লাগে।
৩। রক্তক্ষরণ ও টান ধরা- পিরিয়ড শুরু হওয়ার নির্দিষ্ট দিনের আগে হালকা রক্তক্ষরণ বা পেটে প্রচন্ড টান ধরা ব্যথাও প্রেগন্যান্সির লক্ষণ। ভ্রুণ সঞ্চার হওয়ার প্রথম পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে এমন হতে পারে। রক্তক্ষরণ হলেই অনেকে ভাবেন পিরিয়ড শুরু হয়ে গেল, এ বার হল না। এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়।
৪। বমি ভাব, গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা- গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক সপ্তাহে পেটে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব খুবই স্বাভাবিক। প্রোজেস্টেরন হরমোন শরীরে বেড়ে গেলে গা গুলিয়ে ওঠে। অন্য দিকে ইস্ট্রোজেন ও এইচসিজি হরমোনের প্রভাবে হালকা গন্ধও খুব জোরালো মনে হয়। মাঝে মাঝেই বমি পায়। এ রকম হলে অবশ্যই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করান।
৫। খিদে ও অরুচি- হঠাত্ খিদে বেড়ে যাওয়া যেমন প্রেগন্যান্সির লক্ষণ, তেমনই খাবারে প্রবল অরুচি, পছন্দ-অপছন্দও প্রেগন্যান্সির বেশ জোরালো লক্ষণ।
৬। ঘন ঘন প্রস্রাব- প্রেগন্যান্সির প্রথম দুই-তিন সপ্তাহে ঘন গন প্রস্রাব পাওয়া খুব স্বাভাবিক। শরীরে নতুন তৈরি হওয়া এইচসিজি হরমোন কিডনিতে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। ইউটেরাস বড় হতে থাকলে ব্লাডারে চাপ পড়ে। ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।
৭। গলা শুকিয়ে আসা- জল তেষ্টা পাওয়া, চোখে মুখে ফোলা ভাব, হাঁসফাঁস লাগা, জিনসের বোতাম আটকাতে কষ্ট হওয়া প্রেগন্যান্সির লক্ষণ হতে পারে।