অন্য কারোর নামের আড়ালে নয়, নিজের স্বতন্ত্র পরিচয়ে বাঁচতে চাইছেন ভারতীয় মেয়েরা। বিয়ের পরে স্বামীর পদবী নয়, নিজের আগের পদবীই বজায় রাখার প্রবণতা বাড়ছে মহিলাদের মধ্যে। অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে একটি ওয়েব সমীক্ষার ফলাফল।
সম্প্রতী ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ১২,৫০০ জন অবিবাহিত মহিলাকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে একটি জনপ্রিয় ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট। এই সমীক্ষায় কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।
‘বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলার আগে আপনার কি কোনও শর্ত আছে?’ এই প্রশ্নের উত্তরে ৭১.৩% মহিলাই ‘হ্যাঁ’ বলেছেন। ২২.৯% মহিলা জানিয়েছেন ‘এই বিষয়ে ভাবতে হবে তাঁদের’। মাত্র ৫.৮% মহিলা জানিয়েছেন বিয়ের জন্য তাদের কোনও শর্ত নেই।
সমীক্ষা অনুযায়ী, বেশির ভাগই বিয়ের পর পদবী পরিবর্তনে উত্সাহী নন। চাইছেন বজায় থাকুক তাঁদের আর্থিক স্বাধীনতা। চাইছেন বিয়ের পরে বাড়ির কাজেও সমানভাবে হাত লাগাক স্বামীরাও, একই ভাবে দায়িত্ব নিক পরিবারের। তাদের বাবা-মাকেও সমান মর্যাদা দেওয়া হোক।
ওই ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ‘‘এই সমীক্ষায় অন্যরকম তথ্য উঠে এসেছে। গত এক দশকে মূলত শহুরে ভারতীয় মহিলাদের মানসিকতা কী ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে সে বিষয়ে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া গেছে। নিজেদের পছন্দ নিয়ে এখন তারা অনেক সচেতন।’’
এই সমীক্ষাটি মূলত করা হয়েছে মূলত শহরাঞ্চলের তথাকথিত শিক্ষিত মহিলাদের নিয়ে। বাদ পড়েছেন দেশের এক বৃহত্ অংশ। যারা ইন্টারনেটের ব্যবহারটাই জানেন না। এই ধরণের সমীক্ষায় তাদের অংশগ্রহণ এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তারা এই বিষয়ে কী ভাবছেন বা আদৌ কিছু ভাবছেন কি না, সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। সমীক্ষায় তাই এই বিষয়ে ভারতীয় মহিলাদের ভাবনার সামগ্রিক পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না। তবে বিয়ে নিয়ে শহরের একটা বড় অংশের ভাবনা যে বদলাচ্ছে, সমীক্ষাটিতে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে।