ট্যাক্সির হুইলে বসেই জীবনে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন পুণম, সত্যবতীরা

একরত্তি ছেলেটাকে নিয়ে যখন শ্বশুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, তখন পরের বেলা কী খাবেন সেটাও জানতেন না। ছেলের পেটে ভাত জোগাতে চাকরি খোঁজার চেষ্টা চালাতে থাকেন উচ্চ মাধ্যমিক পাস পুণম।

Advertisement

প্রমা মিত্র

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৬ ১৪:৪৫
Share:

একরত্তি ছেলেটাকে নিয়ে যখন শ্বশুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, তখন পরের বেলা কী খাবেন সেটাও জানতেন না। ছেলের পেটে ভাত জোগাতে চাকরি খোঁজার চেষ্টা চালাতে থাকেন উচ্চ মাধ্যমিক পাস পুণম। পেয়েওছিলেন বেশ কিছু চাকরি। কিন্তু কোনও চাকরিই ঠিক যেন মনের মতো হচ্ছিল না। রোজগার নিয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না। দিল্লির রাস্তায় সারাদিন ট্যাক্সি চালিয়ে বহু যুবক ভাল টাকা উপার্জন করছেন দেখে আর বসে থাকতে পারেননি তিনি। চার বছর আগে ড্রাইভিং শিখতে ভর্তি হয়ে যান দিল্লির আজাদ ফাউন্ডেশনে। গত এক বছর ধরে দিল্লির রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছেন ২৩ বছরের পুণম। উবের ব্যবসায় নেমেছেন দু’মাস আগে। ছেলের বয়স এখন পাঁচ।

Advertisement

পুণম একা নন। তাঁর মতো বহু মহিলাই বেছে নিয়েছেন এই পেশা। পুণমের মতোই দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর ঘর ছাড়তে হয়েছিল সত্যবতী কাশ্যপকেও। বন্ধুর গাড়িতে ড্রাইভিং শিখে গত সাত বছর ধরে দিল্লির রাস্তায় ট্যাক্সি চালাচ্ছেন তিনি। গত এক বছর যুক্ত উবের ব্যবসার সঙ্গে। মেয়ে মেডিক্যাল পড়ুয়া, ছেলে স্নাতক স্তরের ছাত্র।

নিম্নবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা, স্বল্পশিক্ষা, ডিভোর্সি তকমা নিয়ে যখন সমাজের অন্যান্য পেশায় নাক সিঁটকনো, তাচ্ছিল্যই সঙ্গী হয়েছে, তখন রাজধানীর রাস্তায় হুইলের পিছনে বসে খোলা কাচের বাতাসে তাঁরা পেয়েছেন জীবনের অক্সিজেন।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন