ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট কি সত্যিই ক্ষতিকারক?

পছন্দ মতো স্তন পেতে অনেক মহিলাই এখন ব্রেস্ট ইমপ্লান্টের দিকে ঝুঁকছেন। অধিকাংশ অভিনেত্রীই ব্রেস্ট ইমপ্লান্টের সাহায্যে সুন্দর করে তুলেছেন নিজেদের। সমস্যায়ও পড়েছেন অনেকে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৫ ১৮:২৮
Share:

পছন্দ মতো স্তন পেতে অনেক মহিলাই এখন ব্রেস্ট ইমপ্লান্টের দিকে ঝুঁকছেন। অধিকাংশ অভিনেত্রীই ব্রেস্ট ইমপ্লান্টের সাহায্যে সুন্দর করে তুলেছেন নিজেদের। সমস্যায়ও পড়েছেন অনেকে। কোথাও ইমপ্লান্ট ফেটে সিলিকন জেল বাইরে চলে এসেছে, কখনও বা বুক ভারী লাগায় বা ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট তুলেও নিয়েছেন অনেকে। ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট করানোর আগে জেনে সুবিধা, অসুবিধাগুলো।

Advertisement

১। এই প্রথম, এই শেষ নয়- ইমপ্লান্ট কিন্তু চিরস্থায়ী নয়। পঁচিশ শতাংশ মহিলার ক্ষেত্রে এক বার সার্জারির ১০ বছর পর আবার আবার ইমপ্লান্ট করাতে হতে পারে। যেটা বেশ খরচ সাপেক্ষ।

২। সময়- ইমপ্লান্টের পর সুস্থ হতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগে। তাই পাঁচ থেকে সাত দিন কাজ থেকে ছুটি নিতে হবে। তারপরও সম্পূর্ণ সুস্থা নাও হতে পারেন।

Advertisement

৩। অনুভূতি- সিলিকন ব্রেস্ট দেখতে আসল ব্রেস্টের মতো হলেও অনুভূতি কিন্তু ন্যাচারাল ব্রেস্টের মতো নয়। ছুঁলে বোঝা যায় পার্থক্য। ভেবে নিন আপনি নিজের ক্ষেত্রে এমনটা চান কিনা।

৪। বাস্তববাদী হন- যদি আপনার ব্রেস্টের আকার খুব ছোট হয় তবে একবারেই অনেক বড় ব্রেস্টের স্বপ্ন দেখবেন না। যদি স্বাভাবিক কাপ সাইজ স্মল এ হয়, তবে এক লাফে ডিডি কাপ সাইজ করা যায় না। কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে বাড়াতে ইমপ্লান্টের মাধ্যমে বাড়াতে হবে।

৫। স্তন্যদান- অনেক ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট করলে নিপলে অদ্ভুত পরিবর্তন আসে। যা পরে ব্রেস্টফিডিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অন্য কারণেও স্তন্যদানে সমস্যা হতে পারে।

৬। ব্রেস্ট ক্যানসার- যদি পরিবারে ব্রেস্ট ক্যানসারের ইতিহাস থাকে তাহলে অবশ্যই ইমপ্লান্ট থেকে দূরে থাকুন।

৭। চিকিত্সক- যেহেতু ব্যাপারটা বেশ খরচ সাপেক্ষ, এবং অনেকেই লুকিয়ে রাখতে চান তাই অনেক চিকিত্সক উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই এই সার্জারি করে থাকেন। সাবধান থাকুন।

৮। সিলিকন ও স্যালাইন- এই দুই রকমের ইমপ্লান্ট হয়। সিলিকন দেখতে বেশি ন্যাচারাল হলেও ভিতরে জেল থাকার কারণে ফেটে গেলে বোঝা যায় না। অন্য দিকে স্যালাইন দেখতে অতটা ন্যাচারাল না হলেও সুবিধাজনক।

৯। ফ্যাট ট্রান্সফার- অনেকে ইমপ্লান্ট না করে শরীরের অন্য অংশের মেদ ব্রেস্টে নিয়ে আসেন। একে বলে অটোলোগাস ফ্যাট ট্রান্সফার।

১০। এক্সারসাইজ- ইমপ্লান্টের পর অন্তত ১২ সপ্তাহ শরীরচর্চা থেকে দূরে থাকতে হবে। ঝাঁকুনি হয় এমন এক্সারসাইজ হয়তো কোনওদিনই করতে পারবেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন