অক্টোবর প্রায় শেষ। বাতাসে এখন হেমন্তের আলগা ছোঁয়া। ভোরের দিকে একটা শিরশিরে ভাব। জানান দিচ্ছে, শীত আসছে। পাতা ঝরার মরসুমের শুরুতে টান ধরছে চামড়াতেও। এই শীতটা আপনার অন্য রকম হোক। এবারের শীতটা না হয় শুধু কমলা লেবু , ডালিয়া, অনেক রঙ, কেক-পেস্ট্রির গন্ধ আর ছুটির আনন্দে মশগুল থাকুক। বিদায় জানান শুষ্ক ত্বককে। শীতের শুষ্কতা আপনার ত্বকে থাবা বসাতে দেবেন কেন? এখন থেকেই ত্বকের যত্ন নিন।
শীতেও ত্বকের জেল্লা ইনট্যাক্ট রাখতে পাঁচ দফা টিপস
ক্রিমি প্রোডাক্টের স্টক বাড়ান- শীতের আগেই জেল বেসড যাবতীয় (ফেসওয়াশ হোক বা মেকআপ অথবা সাবান) প্রসাধনীকে ব্যাগে পুরে তাকে তুলুন। তার বদলে নিয়ে আসুন ক্রিম বেসড প্রসাধনী। যে কোনও ক্রিমবেসড প্রসাধনীতেই তেল থাকে। এই তেল ত্বকে একটা প্রোটেকটিভ লেয়ার তৈরি করে। ফলে কনকনে ঠাণ্ডাতেও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
সঙ্গে রাখুন সানস্ক্রিন- আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই একটা কমন ভুল করে থাকি। গরম চলে গেলেই সানস্ক্রিনকে ভুলে যাই। শীতের আগের রোদটাও কিন্তু ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। চামড়া পুড়বেই। গোটা শীতকালটাই তাই সানস্ক্রিনের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। শীতের জন্য ইউভি এবং পিএ+++ প্রোটেকশন সহ সানস্ক্রিন অত্যন্ত উপযোগী। বাড়ি থেকে বেরনোর ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মেখে নিলে ট্যান পরার সম্ভাবনা অনেক কমবে।
তেল মাখুন- শীতের শুরু থেকেই বডি অয়েল মাখা শুরু করে দিন। ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে বডি অয়েলের কোনও তুলনা হয় না। স্নানের আগে নিয়ম করে অন্তত ১০ মিনিটের জন্য একটা বডি অয়েলিং সেশন রাখুন। বেবি অয়েল বা অলিভ অয়েল এ ক্ষেত্রে সেরা অপশন। নিয়ম করে এই ফর্মুলা মেনে দেখুন, আপনার ত্বক নরম, তুলতুলে হবেই।
কন্ডিশনর- এমনিতে শ্যাম্পু করলে কন্ডিশনার ব্যবহার ভীষণ প্রয়োজনীয়। শীতকালে একেবারে মাস্ট। শীতে শরীরের অন্য অংশের মত মাথার ত্বকও শুষ্ক হতে থাকে। রুক্ষ হয়ে ঝড়তে থাকে চুল। কন্ডিশনারের মধ্যে যে সিলিকন থাকে তা মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। বাজারি কন্ডিশনারে যদি আপত্তি থাকে বাড়িতেও তৈরি করে ফেলতে পারেন হেয়ার মাস্ক। অ্যাভোক্যাডো থেঁতো করে তার সঙ্গে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এই মাস্কটা ৩০ মিনিটের জন্য মাথায় লাগিয়ে রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল সিল্কি জেল্লাদার হবে।
হাইড্রেট- প্রচুর জল খান। শরীরের যাবতীয় টক্সিস দূরে সরিয়ে ত্বকের তারুণ্য দরে রাখতে পারে জলই।