Sports News

প্রোটিয়াদের ৩০০-র নীচে আটকেও ব্যর্থ ভারতের টপ অর্ডার

শুক্রবার টস জিতে ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারেই কোনও রান না দিয়ে ডিন এলগারকে ফেরান ভুবনেশ্বর। ভুবনেশ্বরের ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ওপেনার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১৬:০১
Share:

মর্কেলের পেসের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ বিরাট কোহালির। ছবি: এপি।

দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৬/১০ (৭৩.১ ওভার)

Advertisement

ভারত ২৮/৩ (১১ ওভার)

(প্রথম টেস্ট প্রথম দিন)

Advertisement

তৃতীয় সেশন

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৮৬ রানে আটকে দিয়েও শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার ভারত। এ দিন মাত্র ১১ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় বিরাটবাহিনী। কিন্তু প্রোটিয়া পেস ত্রয়ী স্টেন, ফিলান্ডার ও মর্কেলের দাপুটে বোলিংয়ে মাত্র ২৮ রানে ৩ উইকেট খুইয়েছে ভারত। শিখর ধবন (১৬) মুরলী বিজয় (১) এবং অধিনায়ক বিরাট কোহালি (৫) কোনওরকম লড়াই না দিয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। ক্রিজে রয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা এবং রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় দিনে ভারতীয় দল কতটা লড়াই করতে পারে এখন সেটাই দেখার।

তৃতীয় সেশন শেষ হওয়ার আগেই অল-আউট হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০০ রানের গণ্ডিও পেড়তে পারল না হোম টিম। দিনের শেষ সেশন শুরু হয়েছিল ২৩০/৭ নিয়ে। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে টানল ফিলান্ডার, মহারাজ, রাবাদারা। যদিও বড় রানে পৌঁছতে ব্যর্থ দল। ১৫ ওভার বাকি থাকতেই ২৮৬ রানে অল-আউট হয়ে গেল দু প্লেসির দল।

প্রথমে বল হাতে পেসাররা সাফল্য পেলেও পরে স্পিনারদের বলেও সাফল্য আসে। মহারাজকে রান আউট করে ফেরানোর পর জোড়া উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রাবাডা ২৬ রান করে ঋদ্ধিমানকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই মর্কেল ফেরেন এলবিডব্লু হয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং শেষে অশ্বিনের নামের পাশে দু’উইকেট। তার আগেই বাকি কাজ করে দিয়েছেন অন্য বোলাররা।

আরও পড়ুন: রাহানে বাদ পড়ায় উত্তপ্ত সোশ্যাল মিডিয়া

দ্বিতীয় সেশন

দ্বিতীয় সেশনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩০/৭। মোট ৫৩ ওভার খেলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত চারটি উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার। একটি করে উইকেট বুমরাহ, হার্দিক ও শামির। এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রান ডি ভিলিয়ার্সের ৬৫।

শুরুটা ভাল না হলেও লাঞ্চ ব্রেক হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের হাল ধরে ফেলেছিলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ফাফ দু প্লেসি। ১২ রানে তিন উইকেট থেকে ১০৭ রানে প্রথম সেশন শেষ করেছিল হোম টিম। দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকেই আসে হাফ সেঞ্চুরি। ডি ভিলিয়ার্স আউট হন ৬৫ রানে।

আরও পড়ুন: টেস্ট দলে অভিষেকেই বুমরাহর শিকার ডি ভিলিয়ার্স

ভারতের হয়ে অভিষেক টেস্টেই বড় রানের দিকে এগিয়ে যাওয়া জুটিকে ভাঙেন জসপ্রীত বুমরাহ। তাঁর বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন ডি ভিলিয়ার্স। হার্দিক ফেরান ৬২ রান করা দু প্লেসিকে। দ্বিতীয় সেশনে নিজের নামের পাশে চার নম্বর উইকেটটি লিখে ফেলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ৪৩ রান করে ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুইন্টন ডে কুক। ফিলান্ডারকে তুলে নিয়ে নিজের নামের পাশে উইকেট লিখে নিলেন মহম্মদ শামিও।

প্রথম সেশন

২৬ ওভার শেষে আপাতত লাঞ্চ ব্রেক। প্রথম সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৭/৩। এই সেশনে ১৯টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

ভারতের বিরুদ্ধে পেস অ্যাটাক শক্ত করেই নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কারণ ভারতকে আটকাতে তেমনই উইকেট তৈরি করেছিল হোম টিম। কিন্তু পাল্টা ধাক্কা দিয়ে গেলেন ভারতের পেস অ্যাটাকের অন্যতম ভুবনেশ্বর কুমার। তাঁর বলের আঘাতে শুরুতেই বড় ধাক্কা খেল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে তিনি ফেরালেন দলগত ১২ রানে। সেই তুলনায় মহম্মদ শামির বোলিং বেশ কিছুটা ফিকে।

শুক্রবার টস জিতে ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারেই কোনও রান না দিয়ে ডিন এলগারকে ফেরান ভুবনেশ্বর। ভুবনেশ্বরের ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ওপেনার। আর এক ওপেনার ভুবনেশ্বরের পরের ওভারেই। দলের রান তখন ৭। এডেন মারক্রামের ব্যাক্তিগত রান যখন ৫ তখনই এলবিডব্লু হন তিনি।

নিজের তৃতীয় ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন নম্বর উইকেটটি তুলে নেন সেই ভুবনেশ্বরই। এ বার তাঁর শিকার তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা হাশিম আমলা। মাত্র ৩ রান করে সেই ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ দিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। তখন দক্ষিণ আফ্রিকা দাঁড়িয়ে ১২/৩এ। এর পর অবশ্য দলের ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ফাফ দু প্লেসি। নিজের হাফ সেঞ্চুরিটিও সেরে ফেলেন ডি ভিলিয়ার্স।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন