ডিআরএস চেয়েছিলেন বিরাট। ছবি: রয়টার্স।
প্রথম দিন বৃষ্টির জন্য টসই করা যায়নি। দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয়েছিল খেলা। তাও মাঝে মাঝেই বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়েছে। তার মধ্যেই প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। প্রথম টেস্ট খুব কাছে গিয়ে হারের পর দ্বিতীয় টেস্ট ছিল ভারতের জন্য ঘুরে দাড়ানোর। কিন্তু শুরুটা মোটেও ভাল হল না ভারতের। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১০৭ রানেই শেষ হয়ে গেল ভারতের প্রথম ইনিংস।
সে দিন আর ব্যাট করতে নামতে পারেনি ইংল্যান্ড। তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে তেমনভাবে ক্রিজে জাঁকিয়ে বসতে পারেননি দলের টপ অর্ডাররা। দুই ওপেনার কুক ২১ ও জেনিংস ১১ রান করে ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। এ দিন বল হাতে শুরু করেছিলেন ইশান্ত শর্মা ও মহম্মদ শামি। বিরাট অশ্বিনকে বল করতে আনেন ৪০ ওভারের পর। তবে প্রথমে বল হাতে ইংল্যান্ড ব্যাটিংকে চাপে রেখেছিলেন মহম্মদ শামি। তিন উইকেট নেন তিনি।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক জো রুট ১৯ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান। জেনিংসের পর তিনও মহম্মদ শামির শিকার। টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া পোপ আউট হন ২৮ রানে। তাঁকে ফেরৎ পাঠান হার্দিক পাণ্ড্য। ২৪ রান করা জোস বাটলারকে ফেরান সেই শামিই। ১৩১ রানেই পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের। এর পর হোম টিমের হাল ধরেন বেয়ারস্টো ও ক্রিস ওকস। শেষ পর্যন্ত বেয়ারস্টো ও ওকস হাফ সেঞ্চুরির গণ্ডি পেড়তে সক্ষম হন। সঙ্গে ইংল্যান্ড পেড়িয়ে যায় ৩০০ রানের গণ্ডিও।
আরও পড়ুন
ভারতীয় দলের পাশে থাকার আর্জি জানালেন রোহিত, সমর্থন অমিতাভের
টি পর্যন্ত ১২৩ রানের এগিয়ে ইংল্যান্ড। শুরুটা ভাল করেও মিডল অর্ডারকে আর সমস্যায় ফেলতে পারলেন না ভারতের বোলাররা। বেয়ারস্টো আর ওকসই দারুণভাবে ক্রিজে টিকে জয়ের রাস্তাটা প্রথম ইনিংসেই দেখিয়ে দিলেন। খারাপ আলোর জন্য এ দিনও ভেস্তে গেল ম্যাচ। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৩৫৭।