চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি হাতে অধিনায়ক বিরাট কোহালি। ছবি: রয়টার্স।
ভারত ৪৮৭
শ্রীলঙ্কা ১৩৫ ও ১৮১
এক ইনিংস ও ১৭১ রানে জয় ভারতের
ঠিক যে ভাবে শুরু করেছিল টিম ইন্ডিয়া সেই ছন্দেই শেষ হল টেস্ট সিরিজ। শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেই এ বার ওয়ান ডে সিরিজ খেলতে নামবে ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রানার্স হওয়ার পর এটাই ছিল বিরাটদের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর মূল মঞ্চ। আর ঘুরে দাঁড়াল রাজার মতই। শেষ টেস্টে এক ইনিংস ও ১৭১ রানে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। তার সঙ্গে টেস্ট সিরিজে ৩-০তে জয়। তিন ম্যাচের সিরিজ দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের সঙ্গেই জিতে নিয়েছিল ভারত। তৃতীয় টেস্ট আড়াই দিনেই শেষ করে এ বার বিশ্রামেরও অনেকটা সময় পাবে টিম ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন
নতুন নামে শিখর ধবনকে ডাকছে টিম ইন্ডিয়া
হোয়াইটওয়াশে হেলায় লঙ্কাজয় বিরাটদের
প্রথম ইনিংসে ভারত থেমেছিল ৪৮৭ রানে, আগের দুই ম্যাচের থেকে অনেকটাই কম রান। প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৬০০রানের গণ্ডি পেড়িয়েছিল ভারত। এ বার যদিও তেমনটা হল না। প্রথম দুই ম্যাচ চার দিনে শেষ হওয়ার পর শেষ টেস্ট শেষ হল আড়াই দিনে। যেখানে ছিল ধবন ও হার্দিকের সেঞ্চুরি। রাহুলের ৮৫। বল হাতে সফল শ্রীলঙ্কার বোলাররাও। পাঁচ উইকেট নিলেন সন্দাকান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৫ রানেই শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। চান্দিমলের ব্যাক্তিগত ৪৮ রান ছিল সবোচ্চ। ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে বল হাতে সফল কুলদীপ যাদব। চারটি উইকেট নেন তিনি। দুটো করে উইকেট মহম্মদ শামি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। সেঞ্চুরির পর বল হাতেও উইকেট তুলে নেন হার্দিক পাণ্ড্য।
দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ফলো-অন করিয়ে ইনিংসে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পর তৃতীয় টেস্টেও যেন সেই ঘটনারই অ্যাকশন রিপ্লে দেখল ক্যান্ডি। এ বারও ফলো-অনের পর যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামল শ্রীলঙ্কা সেখানেও কোনও প্রতিরোধ তৈরি করতে পারল না। ১৮১ রানে শেষ হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস। এ বার শ্রীলঙ্কার হয়ে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ ৪১ রান এল ডিকওয়েলার ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংসে কুলদীপের পর দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে চার উইকেট নিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিন উইকেট মহম্মদ শামির। দু’জনকেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ওয়ান ডে সিরিজে।