মহম্মদ শামি-অশোক ডিন্ডা জুটি ঝড় তুলতে না পারলেও আমির গনির ঘূর্ণিতে চাপে সার্ভিসেস। বাংলার ৫৫২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তারা ৩৫৯-এ শেষ। পাঁচ উইকেট পেলেন ২১ বছর বয়সি অফস্পিনার। তিন পয়েন্ট সুরক্ষিত হওয়ার পরে সোমবার ম্যাচের শেষ দিন যে তারা জয়ের জন্য ঝাঁপাতে চায়, শেষ বেলায় দুই বঙ্গ ওপেনারের ব্যাটে তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল রবিবার। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১১ ওভারে ৭৭ রান তুললেন অভিষেক রামন (৩৫ বলে ৪০) এবং অভিমন্যু ঈশ্বরন (৩৫ বলে ৩১)।
তৃতীয় দিনের শেষে ২৭০ রানে এগিয়ে বাংলা। শেষ দিন এই গতিতে আরও শ’খানেক রান তুলে বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠানোর পরিকল্পনা আছে বলে শোনা গেল বাংলা শিবির থেকে। ৬ পয়েন্ট তোলার সর্বশেষ একটা চেষ্টা করতে চায় তারা।
বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি এ দিন দিল্লি থেকে ফোনে বলেন, ‘‘পিচ শুকনো। বল উঠছেই না। মরা উইকেট। তা ছাড়া এখনকার বলের মান কী রকম জানি না, পুরনো বলে পেসাররা রিভার্স সুইংও পাচ্ছে না ঠিক মতো।’’ শামি (১-৬৯), ডিন্ডার (০-৪৬) মতো অভিজ্ঞ পেসারদের সফল না হওয়ার ব্যাখ্যা এ ভাবেই দিলেন অধিনায়ক। গনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। বলেন, ‘‘গনি দুর্দান্ত। এই উইকেটে ঠিক যে রকম বোলিং করার দরকার ছিল, সেরকমই করেছে। ওর বলে গতি, বৈচিত্র সব দরকারি উপাদানই ছিল।’’
মনোজ এ দিন আরও বলেন, ‘‘দলে একজন বাঁহাতি পেসার (কণিষ্ক শেঠ) নেওয়া হয় যাতে স্পিনারের জন্য সে রাফ স্পট তৈরি করে দিতে পারে। তার সুফল তো পাওয়াই গেল। গনি রাফটা দারুণ কাজে লাগিয়েছে।’’ গনিও তা স্বীকার করে নিয়ে বললেন, ‘‘এই সুবিধাটা পেয়েছি। পরিকল্পনাটা খুব কাজে লেগেছে।’’