সুনীল ছেত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
মোহনবাগান আর বেঙ্গালুরু এফসি কয়েক দিন আগেই কলকাতায় এএফসি কাপের ম্যাচে খেলল। সেটাকে বলা হচ্ছিল, ফেডারেশন কাপ ফাইনালের মহড়া।
সেই ম্যাচটায় দু’দলই অনেককে বিশ্রাম দিয়েছিল এবং যদি সেই ফলাফলের ভিত্তিতে কেউ ফেড কাপ ফাইনালের পূর্বাভাস করতে বসে, তা হলে খুবই ভুল করবে।
যদিও এ ব্যাপারে আমারও কোনও সন্দেহ নেই যে, মোহনবাগানকে অনেক বেশি ক্ষুধার্ত দেখিয়েছে ফেড কাপে। ম্যাচ অনুযায়ী যে ভাবে ওরা এগিয়েছে, যে ভাবে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তাতে ওদের দলের উচ্চ গুণগত মান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আই লিগ হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ মেটাতেও যেন মোহনবাগান প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, বেঙ্গালুরু পাচ্ছে না সুনীল ছেত্রীকে। যে কিনা বেঙ্গালুরুর প্রধান অস্ত্র তো বটেই, খুব উজ্জীবিতও করতে পারে অধিনায়ক হিসেবে। বরাবরই বেঙ্গালুরুর সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করেছে সুনীলের ওপর। বিশেষ করে আক্রমণভাগে ওর ফর্ম দলের ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা নেয়। যে যা-ই বলুক, আমি মনে করি, সুনীলের না থাকাটা আজ, রবিবার কটকের মাঠে বিরাট পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। সুনীল বড় ম্যাচের খেলোয়াড়, এটা ভুললে চলবে না।
আমার মনে হচ্ছে, ফাইনালে রণনীতির যুদ্ধ হতে যাচ্ছে। মোহনবাগানের আক্রমণভাগ দেশের যে-কোনও প্রতিপক্ষকে আতঙ্কে রাখতে পারে। বেঙ্গালুরু ওদের বিভ্রান্ত, হতাশ করে দেওয়ার চেষ্টা করবে। বিশেষ করে সনি নর্দে-কে শান্ত রাখতে না পারলে বেঙ্গালুরুর কপালে দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে।
বেঙ্গালুরু ধৈর্য ধরে অপেক্ষার খেলা খেলতে পারে। ওদের অস্ত্র হতে পারে কাউন্টার অ্যাটাক। সুনীল না থাকলেও ওদের ম্যাচ জেতানোর মতো ফুটবলার আছে। উদান্ত সিংহ সি কে বিনীত ধুরন্ধর ফুটবলার। ওদের গতিও আছে ভাল। ওরা দু’জন কিন্তু ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বেঙ্গালুরুর হয়ে।
মোহনবাগানের মন্ত্র হবে একটাই— আক্রমণ, আক্রমণ, আক্রমণ। গোটা মরসুম ধরে সবুজ-মেরুনের থ্রি মাস্কেটিয়ার্স— সনি নর্দে, ড্যারেল ডাফি এবং কাতসুমি মিলে সেটাই করে গিয়েছে। এই ত্রয়ীর সঙ্গে বলবন্তকে যোগ করলে দুর্ধর্ষ আক্রমণ বিভাগ। এমনই অবস্থা যে, জেজে লালপেখলুয়ার মতো ফুটবলারকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে হতে পারে।