ছয় কোটির দেনার বোঝা মাথায়। তা সত্ত্বেও সোমবার সুবর্ণ বণিক সমাজ হলে তেরো মিনিটেই শেষ হল আইএফএর বার্ষিক সাধারণ সভা! কোনও বিরোধিতা নেই। নেই বিতর্কও! ঋণের মোটা বোঝা থাকলেও আইএফএর জন্য সুখবর, গত বছর তারা লাভ করেছে প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা। কিন্তু সেটাও পিঁপড়ের মতো দেখাচ্ছে এত বিশাল দেনার বোঝার তুলনায়। কলকাতা লিগের তিন বছরের পুরস্কার অর্থ ক্লাবগুলি পায়নি। যার পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, ‘‘আমরা ইতিমধ্যেই কিছু কিছু করে টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছি। আশা করছি, এ বছর অন্তত গত দু’বছরের পুরস্কারের টাকাও মিটিয়ে দেব।’’ কিন্তু কী ভাবে? উৎপলবাবুর আশা যে দু’কোটি টাকা আইএফএর পাওনা রয়েছে বাজারে, সেটা এ বছরই পেয়ে যাবে রাজ্য ফুটবল সংস্থা। এবং তা দিয়েই ঋণের বোঝা কিছুটা কমানো হবে। আবার টাকা আদায় না হলে ঋণের বোঝা যে এক লাফে আরও দু’কোটি বেড়ে যাবে, তা নিয়েও কোনও সন্দেহ নেই। এ দিকে, বৃহস্পতিবার ফের উৎপলবাবু রাজ্য ফুটবল সংস্থার সচিব পদে বসতে চলেছেন। নতুন কার্যকরী কমিটির প্রথম সভায় সেই সিদ্ধান্ত হবে।