ছবি: সংগৃহীত।
বার্সেলোনায় আজীবন থাকবেন বলে অভিনব চুক্তি করলেন আন্দ্রে ইনিয়েস্তা। এ দিনই সেই চুক্তির কথা ঘোষণা করে ক্লাব। পুরনো চুক্তি ফুরিয়ে আসছিল এবং যে হেতু ইনিয়েস্তা আগের সেই সোনার ফর্মে নেই, নানা জল্পনাও শুরু হয়েছিল এ নিয়ে। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বার্সেলোনা সারা জীবনের জন্য রেখে দিল তাঁকে। এর পাশাপাশি কাতালুনিয়া নিয়েও মুখ খুললেন ইনিয়েস্তা। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইটে তিনি এ দিন লিখেছেন, ‘এই সমস্যা সত্যিই খুব জটিল। কাতালুনিয়ার প্রতিবাদ আগে যতটা আশা করা হতো, এ বার তার চেয়ে অনেক বিশাল আকারের’।
স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী বছর তেত্রিশের এই ফুটবলার আরও বলেন, ‘একটা ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। তা হল আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হতে পারে। আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগে যারা এই সমস্যা জিইয়ে রেখেছেন তারা আলোচনা শুরু করুন। আর তা করুন আমাদের সকলের স্বার্থে। কারণ আমরা শান্তি চাই’।
তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার এটাই যে, এ দিন ইনিয়েস্তার মন্তব্যের পর কাতালুনিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে বার্সেলোনা যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তা-ও প্রায় একই রকম। বার্সা কর্তারাও বলেছেন, ‘‘এফসি বার্সেলোনার দাবি, পারষ্পরিক বোঝাপড়া ও কথাবার্তার মাধ্যমে শান্তি ফিরে আসে স্পেনে।’’ সঙ্গে তাঁরা এটাও যোগ করেন, ‘‘কাতালুনিয়ার জনগণের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।’’ এরই মাঝে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপের এক ভাষণে। যেখানে তিনি কাতালুনিয়ার এই স্বাধীনতার দাবিকে বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন। শুধু তাই নয়, পুলিশের গুলিতে আহত কাতালান জনগণের প্রতি কোনও সমবেদনাও দেখাননি তিনি। পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে স্পেনের জাতীয় দলের আর এক ফুটবলার সের্জিও র্যামোসের মন্তব্য। তিনি বলেছেন, ‘‘রাজার মন্তব্যকে আমি সম্মান জানাচ্ছি।’’
এর আগে বার্সার জেরার পিকে প্রতিবাদে মুখর হয়ে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন। যা শুনে র্যামোস কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘জনগণের কাছে অসম্মানিত হতে না চাইলে মনের কথা মনেই রাখুক পিকে।’’ কিন্তু এ দিন একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে তিনি বলেন, ‘‘চিন্তাভাবনা আলাদা হলেও আমাদের মধ্যে এখনও দারুণ সম্পর্ক রয়েছে।’’