ইডেনে ক্রিকেটের বড় ম্যাচে মোহনবাগানকে বিপদ থেকে টেনে তোলার পথে অনুষ্টুপ ও ঋদ্ধিমান। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
অনুষ্টুপ মজুমদার, ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভময় দাসের ব্যাটের দাপটে ক্রমশ ক্রিকেট ডার্বির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে মোহনবাগান। শনিবার সুপার লিগে প্রথম দিনের শেষে তারা ৩৩২-৯।
যে ম্যাচে সরাসরি না জিততে পারলে সুপার লিগের ফাইনালে ওঠা হবে না ঋদ্ধিমানদের, সেই ম্যাচ এ ভাবেই শুরু করলেন তাঁরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ফিরে যান মাত্র ৫৭ রানে। এখান থেকেই ম্যাচের হাল ধরেন অধিনায়ক শুভময় (৫৬) ও অনুষ্টুপ (৮৬)। এই দুই সিনিয়রের ৯৮ রানের পার্টনারশিপের পর অনুষ্টুপ ঋদ্ধির (৬০ নট আউট) সঙ্গে ৭৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই দুই জুটিই মোহনবাগানকে বিপদসীমার ধার থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে।
শেষ বিকেলে অশোক ডিন্ডা দুটো করে চার ও ছয় মেরে ১৪ বলে ২৪ রান করে ছবিটা আরও কিছুটা বদলে দেন। রবিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সাড়ে তিনশো রান তুলে ছাড়তে চায় মোহনবাগান। অনুষ্টুপ বললেন, ‘‘ইডেনের এই উইকেটটা বোলারদের সাহায্য করছে বেশি। তাই এই উইকেটে সাড়ে তিনশো রান তুলতে পারলেই আমরা ভাল জায়গায় চলে যাব।’’ ঋদ্ধি বললেন, ‘‘কাল আমাদের দ্রুত রানটা তুলে ওদের অল আউট করে দিতে পারলে আমরা সরাসরি জেতার জায়গায় চলে যাব হয়তো।’’ কথাগুলো অশোক ডিন্ডা, সায়ন শেখর মন্ডলদের উপর ভরসা করেই বলা। সদ্য ভারতীয় যুব দলে ডাক পাওয়া ঈশান পোড়েল এ দিন তিন উইকেট নেন। বি অমিত ও অর্ণব নন্দী দুটো করে উইকেট নেন।
অন্য দিকে লিগ তালিকায় একেবারে নীচে থাকা সত্ত্বেও ফাইনালে ওঠার দিকে দৌড়চ্ছে গতবারের রানার্স ভবানীপুর। বড়িশাকে ১৪৯-এ অল আউট করার পর দিনের শেষে তারা ১২৪-১। রবিকান্ত সিংহ চারটি ও গীত পুরী তিনটে উইকেট নেন। সরাসরি জিতলে ফাইনালে উঠতে পারে তারা। কালীঘাট বনাম তপন মেমোরিয়াল ম্যাচে ফয়সালা না হলে অবশ্য।