তেন্ডুলকর নামের চাপ সামলে নেবে অর্জুন, আশায় সচিন

লর্ডস টেস্টে বাইশ গজে বিরাট কোহালি-জিমি অ্যান্ডারসনের দ্বৈরথ নিয়ে যেমন চর্চা হয়েছে, সে রকমই আলোচিত হয়েছে একটি নাম— তেন্ডুলকর। আলোচিত বাবা-ছেলে দু’জনেই— সচিন এবং অর্জুন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৮ ০৩:২৩
Share:

স্বেচ্ছাসেবক: লর্ডসে রেডিয়ো বিক্রেতা অর্জুন। সঙ্গে হরভজন। টুইটার

লর্ডস টেস্টে বাইশ গজে বিরাট কোহালি-জিমি অ্যান্ডারসনের দ্বৈরথ নিয়ে যেমন চর্চা হয়েছে, সে রকমই আলোচিত হয়েছে একটি নাম— তেন্ডুলকর। আলোচিত বাবা-ছেলে দু’জনেই— সচিন এবং অর্জুন।

Advertisement

সচিনের যেখানে প্রথম দিন ঘণ্টা বাজিয়ে টেস্ট শুরু করার কথা ছিল, সেখানে বৃহস্পতিবার অর্জুনকে দেখা গিয়েছে মাঠে নেমে গ্রাউন্ডসম্যানদের সাহায্য করতে। আবার শনিবার সেই অর্জুনকেই দেখা গেল, লর্ডসে রেডিয়ো বিক্রি করছেন। যে ছবি টুইট করে হরভজন সিংহ লিখলেন, ‘‘পঞ্চাশটা রেডিয়ো বিক্রি করে ফেলেছে অর্জুন। আর অল্প ক’টা রয়েছে।’’ এমসিসি যুব ক্রিকেটের অঙ্গ হিসেবে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছেন সচিন-পুত্র। যে জন্য তাঁকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ভূমিকায়।

কিন্তু ক্রিকেটার অর্জুন কতটা প্রভাব ফেলতে পারলেন? ছেলের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে সচিন বলেছেন, ‘‘আমি ওকে স্বাধীনতা দিয়েছি নিজের মতো করে এগিয়ে চলার। অর্জুন বাঁ হাতি পেস বোলিং করে, ক্রিকেটটা উপভোগ করে। আমি ওর ক্রিকেট নিয়ে কখনও মাথা ঘামাইনি। জীবনে নানা বাধার সামনে ওকে পড়তে হবে। কিন্তু আমি নিশ্চিত, সেই বাধা সামলানোর জন্য অর্জুন তৈরি থাকবে।’’ তবে সচিন মেনে নিচ্ছেন, ‘তেন্ডুলকর’ নামটার জন্য চাপ একটা থাকবেই অর্জুনের ওপর। তবে সচিন আশাবাদী, এই চাপ সামলে নিতে পারবেন অর্জুন। তিনি এও জানিয়েছেন, এই নিয়ে ছেলের সঙ্গে বিশেষ কথা বলেন না। ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তির বক্তব্য, তাঁর সঙ্গে অর্জুনের কথাবার্তা আর পাঁচটা বাবা-ছেলের মতোই হয়ে থাকে। ক্রিকেট নিয়ে হয় না।

Advertisement

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে একটি বিশেষ শোয়ে সচিন টেস্ট ক্রিকেট নিয়েও কথা বলেছেন। তাঁর মতে, টেস্ট ক্রিকেটের আকর্ষণ বাঁচিয়ে রাখতে এমন পিচ হোক, যেখানে ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। সচিন বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি বা ওয়ান ডে ম্যাচে বোলারদের সামনে সব সময় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে পিচ। কিন্তু টেস্টে কি এমন পিচ হয়, যেখানে ব্যাটসম্যানরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন?’’ প্রশ্ন তুলেছেন সচিন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, টেস্টে এমন পিচ তৈরি করা উচিত, যেখানে ব্যাটসম্যানরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।

আরও পড়ুন: হারের উদ্বেগের মধ্যে আশঙ্কা কোহালির সেই পিঠের ব্যথা

সচিন সতর্ক করে দিচ্ছেন, পাটা পিচ হলে কী ভাবে ম্যাচটা একঘেয়ে হয়ে যায় এবং তখন ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন দর্শকেরা। সচিন বলেছেন, ‘‘যখন পাটা পিচ হয়, বোলাররা ভাবে এখানে আমি আর কী করতে পারি। তাই ওরা একটা নির্দিষ্ট লাইনে বল করে যায়। আবার ব্যাটসম্যান ভাবে এই পিচে আমি ভুল না করলে আউট হব না। তাই সে ভাবে ব্যাট করে। এই রকম পরিস্থিতিতে ম্যাচটা খুব একঘেয়ে, ঘুম পাড়ানি হয়ে যায়। যা ক্রিকেটের পক্ষে মোটেই ভাল বিজ্ঞাপন নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন