পরীক্ষার মুখে মেহতাবরা।
চারিদিকে পাহাড় আর পাহাড়। তার মধ্যেই আইজলের রাজীব গাঁধী স্টেডিয়াম।
সেখানেই অনুশীলনে নেমে শনিবার সকালে কাঁপুনি ধরে গিয়েছিল উইলিস প্লাজাদের। পাহাড় থেকে বয়ে আসছিল ঠান্ডা বাতাস। সেই সঙ্গে মাঠের কৃত্রিম ঘাস বেশ পুরু ও শক্ত।
অনুশীলন করে রীতিমতো আতঙ্কিত পুরো ইস্টবেঙ্গল শিবির। বিকেলেও সেই আতঙ্ক কাটেনি ইস্টবেঙ্গলের মি়ডফিল্ড জেনারেলের। ‘‘এমন হাওয়া যে বল যে দিকে মারছি সে দিকে যাচ্ছে না। ঘুরে যাচ্ছে। যেমন ক্রিকেট মাঠে বল সুইং করে সে রকমই। ওই হাওয়াটা বন্ধ না হলে সোমবার ঠিকঠাক পাস করা কঠিন,’’ আইজলের টিম হোটেল থেকে ফোনে বলছিলেন মেহতাব হোসেন।
একেই আইজল এফসি রয়েছে লিগ টেবলের তিন নম্বরে। বেঙ্গালুরু এফ সি-কে টপকে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে কলকাতার দুই প্রধানের। তার উপর এ বারের লিগে দেখা যাচ্ছে, আইজলে গিয়ে কোনও ক্লাব জিতে ফিরতে পারছে না। হয় ড্র নয়তো হারতে হচ্ছে। মেহতাব বলছিলেন, ‘‘এখন বুঝতে পারছি কেন এখান থেকে কেউ জিতে ফিরতে পারছে না। প্রচণ্ড জোরে হাওয়া তো আছেই। মাঠটাও খুব খারাপ। খুব শক্ত। পেশিতে টান ধরতে পারে যে কোনও সময়।’’
আইজলে ড্রয়ের হ্যাটট্রিক চাইছেন না মর্গ্যান। যা ইঙ্গিত, সোমবারের ম্যাচে ক্রিস পেইনকে প্রথম দলে রাখা হবে না। চোট সারিয়ে ফেরা অর্ণব মণ্ডলেরও প্রথম এগারোয় থাকার সম্ভবনা কম। আগের ম্যাচে চোট পেলেও গুরবিন্দর সিংহ এ দিন পুরো অনুশীলন করেছেন। বুকেনওয়ার সঙ্গে তিনিই নামবেন পাহাড়ের চ্যালেঞ্জ সামলাতে।