তাহিরের বলে বোল্ড পূজারা। সিরিজে এই নিয়ে তৃতীয় বার। শনিবার কোটলায়। -পিটিআই
সিরিজের সেরা ব্যাটসম্যান অজিঙ্ক রাহানে। মোট সংগ্রহ ২১৮ রান।
ব্যাটসম্যানদের পক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজটা যে মোটেই মনে রাখার মতো নয়, তা বুঝতে এই পরিসংখ্যানই যথেষ্ট। এ পর্যন্ত আর কোনও ব্যাটসম্যান দুশোর গণ্ডি পেরতে পারেননি। মুরলী বিজয়ের ১৯৫ আর চেতেশ্বর পূজারা ১৬০। এ ছাড়া আর কেউ ধারে কাছেও নেই।
শ্রীলঙ্কায় সেঞ্চুরি করে পূজারা যে আশা জাগিয়েছিল, তার রেশ কিন্তু ঘরের মাঠের সিরিজে পাওয়া গেল না। একটা ৭৭-এর ইনিংস খেললেও বাকিগুলিতে তিনি ফ্লপ। কিন্তু যে ভাবে ফিরোজ শাহ কোটলায় দুই ইনিংসেই বোল্ড হলেন, তা অবশ্যই তাঁর কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠা উচিত।
তিনি কতটা চিন্তিত, তা না জানা গেলেও, তাঁর বাবা ও ছোটবেলার কোচ অরবিন্দ পূজারা কিন্তু দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। নাগপুরেও দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর স্টাম্প ছিটকে দিয়েছিলেন জেপি দুমিনি। এলবিডব্লিউ হয়েছেন দু’বার। কিন্তু তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের ২৬ শতাংশ আউট যখন বোল্ড, তখন তো তা চিন্তার বিষয় বটেই।
এটা কি টেকনিক্যাল সমস্যা? না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে?
অরবিন্দের ব্যাখ্যা, ‘‘ব্যাপারটার পেছনে অনেকগুলো কারণই কিন্তু থাকতে পারে। একটা সিরিজ চলাকালীন তার কারণ খুঁজে বের করা কঠিন। তবে এটা দুশ্চিন্তার বিষয় অবশ্যই।’’
কী কী কারণ হতে পারে, জিজ্ঞাসা করায় সিনিয়র পূজারা বললেন, ‘‘ফুটওয়ার্কে গোলমাল হচ্ছে? বলের লেংথের ভিতর বেশি ঢুকে আসছে? ব্যাট ও প্যাডের মধ্যে বেশি ফাঁক হয়ে যাচ্ছে? নাকি মিডল স্টাম্পের বলে বিট হচ্ছে? এ রকম অন্তত গোটা কুড়ি বিষয় খুঁটিয়ে দেখা দরকার। চোখের সমস্যাও হতে পারে। সিরিজটা না হলে এগুলো ঠিক বোঝা যাবে না।’’
ঘূর্ণি উইকেটের জন্য যে ব্যাটসম্যানরা এই সিরিজে মোটেই সুবিধা করতে পারেননি, তা নিয়ে প্রচুর চর্চা হয়েছে। এই ব্যাপারটাও মনে করিয়ে দিতে চাইছেন অরবিন্দ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অযথা উইকেটের সমালোচনা করতে চাই না। তবে এই রকম উইকেটে প্রায় সব ব্যাটসম্যানদের কাজই বেশ কঠিন হয়ে উঠেছিল। চিন্টুও (পূজারার ডাকনাম) উইকেটের জন্য বেশ কয়েকবার আউট হয়েছে।’’
তবে এই প্রথম নয়, পূজারা ২০১৪-য় নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফরেও টেকনিক্যাল সমস্যায় ভুগেছিলেন। বেশি রানও পাননি ব্যাটে। এই নিয়ে প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার অরবিন্দ বলেন, ‘‘ওর উচিত কোচেদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করা। ওঁরা যা বলবেন, নেটে সেগুলো চেষ্টা করা। ওঁরা ভিডিও বিশ্লেষণ করে কী ভুল হচ্ছে, তা খুঁজে বার করতে পারেন। শুধু টিভিতে দেখে এগুলো বার করা যায় না। একবার ওকে বলেছিলাম, ওর প্যাডের খুব কাছেই ব্যাট রেখে খেলার প্রবণতা ঠিক নয়। তাতে এলবিডব্লিউয়ের সম্ভাবনা বা়ড়ে। কিন্তু কেন বারবার বোল্ড হয়ে যাচ্ছে। সেই সমস্যাটা নিয়ে সিরিজ শেষে ওর সঙ্গে বসে খুঁজে বার করতে হবে।’’