International news

এক জন স্প্যানিশ হিসাবে এশিয়ার ক্ষমতাকে ভাঙতে পেরেছি: মারিন

রিও-র ফাইনালের আগে সাতটা ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিলেন স্প্যানিয়ার্ড ক্যারোলিনা মারিন এবং পি ভি সিন্ধু। নেক টু নেক লড়াই হয়েছিল সেখানেও। চারটে ম্যাচে ক্যারোলিনের জয় হলেও পিছিয়ে থাকেননি হায়দরাবাদি কন্যা সিন্ধুও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৬ ১২:০০
Share:

জয়ের সেই মুহূর্ত।

রিও-র ফাইনালের আগে সাতটা ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিলেন স্প্যানিয়ার্ড ক্যারোলিনা মারিন এবং পি ভি সিন্ধু। নেক টু নেক লড়াই হয়েছিল সেখানেও। চারটে ম্যাচে ক্যারোলিনের জয় হলেও পিছিয়ে থাকেননি হায়দরাবাদি কন্যা সিন্ধুও। তিনি জিতেছিলেন তিনটি ম্যাচ। রিও-র ফাইনালের পর এই স্কোর দাঁড়িয়েছে ৫-৩।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় তখন টানটান উত্তেজনা মারিন-সিন্ধুর ম্যাচ ঘিরে। এ শুধু মারিন বনাম সিন্ধু নয়, ৪৭ কোটি বনাম ১২৫ কোটির ম্যাচ ছিল।

খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন মারিন। তাঁর সেরা অস্ত্র একের পর এক প্রয়োগ করে গিয়েছেন। কোর্টের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়িয়েছেন। ক্ষিপ্রতা কাকে বলে সেটাও দেখিয়েছেন তিনি। মারিনের সবচেয়ে প্লাস পয়েন্ট হল খেলার গতিকে বাড়িয়ে বিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করা। সেই সঙ্গে দ্রুত পয়েন্ট তুলে নেওয়া। এবং শুক্রবার সেটাই করেছিল সিন্ধুর বিরুদ্ধে। তাঁর লক্ষ্য ছিল অ্যাটাকিং খেলে বিপক্ষকে তাঁর আসল অস্ত্র প্রয়োগের সুযোগ না দেওয়া। সিন্ধুকে একটা সময় বাধ্য করেছিলেন ডিফেন্সিভ খেলতে। এমনকী সিন্ধুর সেরা অস্ত্র স্ম্যাশকেও সঠিক ভাবে ব্যবহারের সুযোগ দেননি। প্রথম সেটে ২১-১৯-এ হারলেও বাকি দুটো সেট কিন্তু মারিন দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি কেন সেরা! তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল সোনার পদক নিতেই খেলতে নেমেছেন। প্রথম সেটে হেরে গিয়েও কী ভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে বাকি দুটো সেট বের করে নিলেন তার সাক্ষী গোটা দুনিয়া। এই মারিনের আরও একটা প্লাস পয়েন্ট হল, প্রবল চাপে পড়েও মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের সেরাটা দেওয়া।

Advertisement


পেরেছি। নতজানু কোচের কাছে।

ম্যাচ শেষে মারিন বলেন, “এক জন স্প্যানিশ হিসাবে এশিয়ার ক্ষমতাকে ভাঙতে পেরেছি। আমার স্বপ্ন সফল হয়েছে। আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল। যে সাপোর্ট আমার দলের কাছ থেকে পেয়েছি, তা আসাধারণ।”

একটা করে পয়েন্ট জিতেছেন আর চিত্কার করেছেন। এর জন্য আম্পায়ার তাঁকে সতর্কও করেন। হয়ত এটাও তাঁর একটা স্ট্র্যাটেজি বিপক্ষের মনোবল ভেঙে দেওয়ার। আরও একটা ব্যাপার লক্ষ্য করা গিয়েছে, বার বারেই শাটল বদলানোর জন্য আম্পায়ারের কাছে আবেদন করছিলেন মারিন। কিন্তু সিন্ধুর আপত্তিতে সেটা সম্ভব হয়নি। নতুন শাটলে যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন মারিন তা সবাই দেখেছে। তাঁর লক্ষ্য ছিল খেলার গতিকে বাড়ানোর। মারিনের দাবি, শাটল বদলাতে না দিয়ে একটা মাইন্ড গেম খেলতে চেয়েছিলেন সিন্ধু। তিনি বলেন, “আমার ফোকাসকেই নাড়িয়ে দিতে এই স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিলেন সিন্ধু। এতে খেলাটা স্লো হয়ে গিয়েছিল ঠিকই,তবে জানতাম এমন কিছু একটা হবে। তাই আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। তাই আমাকে টলাতে পারেনি। এতো গেমেরই একটি অংশ।”

আরও পড়ুন: আমি তৃপ্ত, একটা পদক নিয়ে যাচ্ছি দেশে

ছবি: রয়টার্স।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন