ডিন্ডার চমকে মুগ্ধ অরুণ, উদ্বেগ ব্যাটিং নিয়ে

মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে যদিও মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার, কৌশিক ঘোষ, অর্ণব নন্দীরা খেলেননি। বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা যাবে তাঁদের। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৭
Share:

মরিয়া: প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট ডিন্ডার। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনই চেনা ছন্দে অশোক ডিন্ডা। রবিবার ইডেনে দিনের শেষে তাঁর ঝুলিতে তিন উইকেট। তাঁর পরিসংখ্যান, ৪-১-২৫-৩।

Advertisement

বাংলার এই অভিজ্ঞ সৈনিকই টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়ে বাংলার হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু গত আট বছরে তিনিই যে এই রাজ্যের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই।

মধ্যপ্রদেশের অধিনায়ক নমন ওঝা তাঁর আউটসুইংয়ের বিরুদ্ধে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। যা দেখে আপ্লুত বাংলার কোচ অরুণ লাল। ডিন্ডার সুইং দেখে অরুণ বললেন, ‘‘এ রকম উইকেট থাকলে ডিন্ডার মতো বোলারকে আটকানো কঠিন। ও বাংলার সম্পদ। এই ছন্দেই ওকে চেয়েছি।’’ যোগ করেন, ‘‘কিন্তু প্রত্যেক ম্যাচে এ রকম উইকেট পাওয়া যাবে কি না জানি না। উইকেট থেকে পেসাররা সুবিধা পেলে ডিন্ডাই হয়ে উঠবে আমাদের অস্ত্র।’’

Advertisement

বাংলার ব্যাটিং নিয়ে যদিও সন্তুষ্ট নন কোচ। ভিভিএস লক্ষ্মণের প্রশিক্ষণে দীর্ঘ আট দিন ক্লাস করার পরে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট বাংলা। জবাবে মধ্যপ্রদেশের স্কোর ৪৫-৪। লক্ষ্মণ বলে গিয়েছিলেন, ‘‘ব্যাটিংয়ে সমস্যা ছিল। তা নিয়ে কাজ করা হয়েছে। আশা করি, আসন্ন মরসুমে ব্যাটিং নিয়ে বাংলার সমস্যা কমবে।’’ কিন্তু লক্ষ্মণ ফিরে যেতেই ব্যাটিং বিপর্যয় ফিরে এসেছে বাংলা শিবিরে।

অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন (০) রান পাননি। ঈশ্বর পাণ্ডের আউটসুইং তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে চলে গিয়েছে কিপারের হাতে। অভিষেক রামনও ব্যর্থ (২)। বাংলার হয়ে সর্বোচ্চ রান বি অমিতের। ৩৬ রান করে প্যাভিলিয়নমুখী হন তিনি। সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায় শুরুটা ভাল করলেও ২৮ রানে আটকে গিয়েছেন। বাংলার কোচ বলছিলেন, ‘‘পিচে পেসারদের সাহায্য ছিল। শুরু থেকেই বল নড়াচড়া করেছে। কিন্তু এ ধরনের উইকেটে তো দাঁড়াতে হবে। ওদের পেস আক্রমণের বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়াতে পারিনি। সমস্যা হয়েছে স্পিনারের বিরুদ্ধেও।’’

সত্যিই তাই। পেসার ঈশ্বর পেয়েছেন এক উইকেট। দুই উইকেট আবেশ খানের। অথচ পেস সহায়ক পিচে নরেন্দ্র হিরওয়ানি-পুত্র মিহির পেয়েছেন চার উইকেট। অরুণের কথায়, ‘‘বোর্ডের ম্যাচ হলে মধ্যপ্রদেশ এত দ্রুত স্পিন আক্রমণে যেত না। আর এই পিচে পেসাররা সারা দিন বল করলে ১৭০ রানও হত কি না সন্দেহ। জানি না আমাদের কী হচ্ছে!’’

মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে যদিও মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার, কৌশিক ঘোষ, অর্ণব নন্দীরা খেলেননি। বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা যাবে তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন