অপেক্ষা: দলে তিন বদল সত্ত্বেও সুযোগ পেলেন না ঋষভ। ফাইল চিত্র
পাকিস্তান ম্যাচে জয়ের ঠিক পরেই ভারতীয় শিবিরে চোটের আতঙ্ক। অভূতপূর্ব ভাবে এক সঙ্গে ছিটকে গেলেন দলের তিন ক্রিকেটার। হার্দিক পাণ্ড্য, অক্ষর পটেল এবং শার্দূল ঠাকুর। যাঁদের জায়গায় নিয়ে আসা হচ্ছে যে তিন ক্রিকেটারকে, তাঁরা হলেন, রবীন্দ্র জাডেজা, দীপক চাহার এবং সিদ্ধার্থ কল।
ভারতীয় দলের তরফে এই কথা জানানোর পরে দু’টো প্রশ্ন উঠছে। কেন এত চোট পাচ্ছেন ক্রিকেটারেরা? দ্বিতীয় এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন— কেন সুযোগ পেয়েও ঋষভ পন্থকে এশিয়া কাপের দলে ফেরানো হল না?
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে ওভালে চোখ ধাঁধানো সেঞ্চুরি করেছিলেন ঋষভ। তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন এশিয়া কাপের দলে রাখা হয়নি ঋষভকে? যাঁর ব্যাটিংটা ওয়ান ডে ক্রিকেটের জন্য বেশি মানানসই, তাঁকে কেন বাইরে রাখা হল? কিন্তু তিন জন ক্রিকেটার ছিটকে যাওয়ায় আবার সুযোগ এসেছিল নির্বাচকদের সামনে। কিন্তু এ বারও ঋষভকে ব্রাত্যই রাখলেন নির্বাচকেরা।
এটা কি ঠিক কাজ হল? সরকারি ভাবে কেউ এই নিয়ে মুখ খুলছেন না। হরভজন সিংহ যেমন চোটের কথা শুনে প্রথমেই জানতে চাইলেন, কারা ছিটকে গিয়েছে আর কারা এসেছে। সব শুনে বললেন, ‘‘এই নিয়ে আমি আর কী বলব!’’
বিষাণ সিংহ বেদীর শহরেরই ছেলে ঋষভ। সব শুনে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বললেন, ‘‘এই প্রশ্ন তো সবার আগে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানকে করা উচিত। আমি কী বললাম, তাতে কী এসে যাবে।’’ ঘটনা হল, মুখে কিছু না বললেও অনেকই নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্তে অবাক। বিশেষ করে যেখানে বিশ্বকাপের আর এক বছরও বাকি নেই, সেখানে কেন ঋষভকে দেখে নেওয়ার একটা সুযোগ পেয়েও সেটা কাজে লাগানো হল না, এই প্রশ্নটা ওঠা খুবই স্বাভাবিক। এবং, উঠছেও। নির্বাচকেরা বলতেই পারেন, তাঁরা দুই পেসারের (হার্দিক, শার্দূল) বদলে দুই পেসার (চাহার, সিদ্ধার্থ) এবং স্পিনারের বদলে স্পিনারই পাঠাচ্ছেন। কিন্তু ঘটনা হল, যেখানে দুবাইয়ের মন্থর উইকেটে পরের দিকে শট খেলা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে, সেখানে ঋষভের মতো পাওয়ার হিটারকে দলে রাখলে কি ভাল হত না? এত চোট-আঘাত কেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। অক্ষরের আঙুল ভেঙেছে, পাক ম্যাচে বদলি ক্রিকেটার হিসেবে ফিল্ডিং করতে গিয়ে। তাঁর কথা বাদ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু পাণ্ড্য (কোমরের নীচের দিকে) এবং শার্দূলকে (কুঁচকি) ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। তাও তো শার্দূল দীর্ঘ বিশ্রামের পরে মাঠে ফিরলেন।
বেদী যেমন চোটের তালিকা শুনে বলেই ফেললেন, ‘‘দুটো ম্যাচ খেলেই চোট পেয়ে গেল!’’ যে প্রশ্নটা অবশ্য শুধু বেদীর নয়, অনেকেরই।