রুপোর পদক হাতে হিমা। ছবি: পিটিআই।
আবার খবরে সেই অসমের নগাঁও জেলার কান্ধুলিমারি গ্রামের কৃষককন্যা হিমা দাস!
গত জুলাই মাসে যাঁর অ্যাথলেটিক্সের আন্তর্জাতিক মঞ্চে অবিশ্বাস্য অভিষেক। অনূর্ধ্ব কুড়ি জুনিয়র বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে চারশো মিটারে সোনা জিতে চমকে দিয়েছিলেন জুলাই মাসেই। এবং তাঁর নিজের দেশ ভারতেও সম্ভবত সেই সোনার সৌজন্যেই প্রথম পরিচিতিলাভ!
সেখানে থেকে এশিয়ান গেমস। জাকার্তায় অবশ্য সোনা জিততে পারেননি। জিতবেন যে তিনি নিজেও আশা করেননি। চারশো মিটারে সব অর্থেই এগিয়ে ট্র্যাকে নেমেছিলেন বাহরিনের নাইজিরিয়াজাত সালওয়া নাসের। রবিবার এশিয়ান গেমসের রেকর্ডও ম্লান করে দিলেন এই সালোয়ো। চারশো মিটার ঠিক ৫০.০৯ সেকেন্ডে সময় করে। কিন্তু কম যাননি হিমাও। তাঁর রুপোর দৌড় শেষ করেছেন ৫০.৫৯ সেকেন্ডে।
আরও পড়ুন: রুপো এলেও হিমাকে নিয়ে উল্লাস গ্রামে
২০০৬ সালে দোহা এশিয়াডে এই ইভেন্ট থেকে শেষ পদক এসেছিল ভারতের। সে বারও রুপোই জিতেছিলেন মনজিৎ কৌর। তবে হিমার সময় মনজিতের চেয়েও ভাল। অসমের এ হেন প্রতিভা এ দিন পদক গলায় ঝুলিয়ে স্বীকার করলেন দৌড় শুরুর আগে সাংঘাতিক স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন, ‘‘এ রকম একটা দৌড়ের আগে সবাই চাপে থাকে। আমিও ছিলাম। কিন্তু সেটা তো সবাই দেখতে বা বুঝতে পারবে না। আমি নিজেই জানি, কতটা স্নায়ুর চাপে ভুগছিলাম।’’
অষ্টাদশী হিমা আবার সোনাজয়ী সালোয়ারও ভক্ত। ‘‘অ্যাথলেটিক্সে ও বিরাট নাম। ওর সঙ্গে ট্র্যাকে দৌড়তে পেরেই নিজেকে ধন্য মনে করেছি। আর শিখলামও অনেক কিছু। কিন্তু টেকনিক্যাল যে দিকটা ওকে দেখে উপলব্ধি করলাম তা ভাষায় বোঝানো আমার পক্ষে বেশ কঠিন।’’ তাঁর আরও কথা, ‘‘ভাল প্রতিযোগীদের সঙ্গে দৌড়লে এমনিতেই পারফরম্যান্সে উন্নতি হয়। তবে দৌড় শুরুর সময় কারও কথা মাথায় রাখিনি। একটাই লক্ষ্য ছিল। যে ভাবে হোক আমাকে নিজের সেরা সময় ছাপিয়ে যেতে হবে।’’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আগামী দিনে আপনি আরও কত দ্রুত দৌড়তে পারেন? হিমার সরল জবাব, ‘‘কে জানে। আমি নিজেও কী জানি, এই প্রশ্নের উত্তর।’’