জ্যাভেলিন থ্রোয়ে সোনার পদক নিয়ে নীরজ চোপড়া। ছবি: রয়টার্স।
খেলা মিলিয়ে দিচ্ছে সীমানার এপার-ওপার। ভুলিয়ে দিচ্ছে যাবতীয় বৈরিতা। এশিয়ান গেমসে জ্যাভেলিন থ্রোয়ে সোনাজয়ী ভারতের নীরজ চোপড়ার মতোই তাই হতে চাইছেন ওই ইভেন্টে ব্রোঞ্জজয়ী পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম।
আরশাদ নাদিম একসময়ে ছিলেন ক্রিকেটার। তারপর শুরু করেন জ্যাভেলিন থ্রো। জাকার্তায় তিনি ৮০.৭৫ মিটার ছুড়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। নীরজ অনেক এগিয়ে ৮৮.০৬ মিটার ছুড়ে সোনা জেতেন। দুজনের মধ্যে ফারাক যে বিস্তর, তা অবশ্য মেনে নিয়েছেন পাক জ্যাভলিন থ্রোয়ার।
পাক অধিকৃত পঞ্জাবের খানেওয়ালের ২০ বছর বয়সি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, “নীরজ অবিশ্বাস্য প্রতিভা। এই নিয়ে আটবার ওর বিরুদ্ধে লড়লাম। তার মধ্যে ভারতে হওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। নীরজের কিন্তু বিদেশি কোচ রয়েছে। যা আমার নেই। তবে ওর কৃতিত্ব আমাকে অনুপ্রাণিত করে। একদিন ওর মতো হওয়াই আমার লক্ষ্য। হয়তো কখনও ওকে হারিয়েও দেব।”
নীরজের সঙ্গে আরশাদ নাদিম। এশিয়ান গেমসের পোডিয়ামে। ছবি: রয়টার্স।
নীরজের সঙ্গে জ্যাভেলিন থ্রোয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে কথা বলার চেষ্টাও করেছেন আরশাদ নাদিম। কিন্তু উলটো দিক থেকে বিশেষ সাড়া পাননি। তিনি বলেছেন, “হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের জবাব প্রায় দেয়ই না। হয়তো ও ব্যস্ত থাকে। তবে ওর টেকনিক দারুণ। আমি নিশ্চিত, সরকারের তরফে পূর্ণ সহযোগিতাও পায়। আমি কিন্তু কখনও বিদেশে ট্রেনিং করিনি। আর এখানেই তফাত।”
দুই বছর আগে গুয়াহাটিতে সাউথ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে এসেছিলেন তিনি। তখনই ভাল লেগেছে ভারতকে। আরশাদ নাদিমের কথায়, “স্মরণীয় সফর ছিল সেটা। লাহোর থেকে অমৃতসর এসেছিলাম সড়কপথে। আপনারা দারুণ আতিথেয়তার নিদর্শন রেখেছিলেন। আবার ভারতে এসে লড়তে চাই।”
আরও পড়ুন: ফাইনালে হার, কিন্তু রুপো জিতেও ইতিহাস গড়লেন সিন্ধু
আরও পড়ুন: শুধু বিজয় নন, ইংল্যান্ডে ব্যর্থ এই বিখ্যাত ভারতীয় ওপেনাররাও