চোটে স্বপ্না সরলেন দোহার বিশ্ব মঞ্চ থেকে

এশীয় প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হওয়ার সুবাদে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স মিটে নামার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে নামবেন না জলপাইগুড়ির মেয়ে।

Advertisement

রতন চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫৯
Share:

স্বপ্না বর্মণ।

দোহায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের রুপো জেতার পরেই বড় ধাক্কা এল স্বপ্না বর্মণের জীবনে। হাঁটুর পিছনের এবং গোড়ালির চোট সারাতে অস্ত্রোপচার করতে হবে তাঁকে। ফলে এ বছর আর কোনও প্রতিযোগিতাতেই নামতে পারবেন না তিনি।

Advertisement

এশীয় প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হওয়ার সুবাদে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স মিটে নামার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে নামবেন না জলপাইগুড়ির মেয়ে। দোহা থেকে বুধবার ফোনে স্বপ্নার কোচ সুভাষ সরকার বলে দিলেন, ‘‘কলকাতায় ফিরে স্বপ্নাকে নিয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। যা পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে অস্ত্রোপচার করাতেই হবে। ওকে এ বছর কোনও প্রতিযোগিতায় আর নামাব না।’’ স্বপ্নার প্রধান লক্ষ্য টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতামান পাওয়া। সে জন্য বিশ্ব মিট ছিল সেরা জায়গা। যা দোহাতেই হবে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর। রাজবংশী পরিবারের সোনার মেয়ের ইচ্ছে ছিল সেখানেই তুলে ফেলবেন যোগ্যতামান পাওয়ার পয়েন্ট। কিন্তু চোট এতটাই ভোগাচ্ছে স্বপ্নাকে যে মুখে হাসি নিয়ে মঙ্গলবার বিজয় মঞ্চে দাঁড়িয়ে পদক গলায় ঝোলালেও খোঁড়াতে খোঁড়াতে হোটেলে ফেরেন তিনি। বিশ্ব মিটে না নামলেও ২০২০ সালের শুরুতে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা আছে, সেখানে ভাল পয়েন্ট করলে স্বপ্নার জাপান যাওয়ার ছাড়পত্র মিলতে পারে। স্বপ্না বলছেন, ‘‘চোটটা এতটাই ভোগাচ্ছে যে এশীয় মিটেই আমি ৬০০০-এর গণ্ডি পেরোতে পারলাম না। তাতে হয়তো সোনা পেতাম না। কারণ উজ়বেকিস্তানের যে মেয়েটা সোনা পেয়েছে, সে আমার চেয়ে ভাল করেছে। কিন্তু ৬১০০ করতেই পারতাম। ট্রায়ালে সেটাই করেছি। চোটটা নিয়ে নামা মনে হয় ঠিক হবে না। তবে স্যর যা বলবেন, তাই করব।’’ তাঁর জন্য জার্মানি থেকে তৈরি হয়ে আসা নতুন বিশেষ জুতো পরে নেমেও সোনা না জেতায় স্বপ্না বা তাঁর কোচ একেবারেই হতাশ নন বলে মনে হল। সুভাষ বললেন, ‘‘ও চোটের জন্য প্রস্তুতি ঠিকমতো নিতে পারেনি এ বার। জ্যাভলিন থ্রো-টা ঠিকমতো করতে পারলেই জাকার্তায় করা এশিয়াডের পয়েন্ট টপতে যেত। হয়নি ঠিক আছে। আসল তো অলিম্পিক্সে নামার সুযোগ পাওয়া। পরের বছর অলিম্পিক্স। হাতে অনেক সময় আছে। অস্ত্রোপচারের পরে রিহ্যাব করলেই ৬২০০ পয়েন্ট টপকে যাবে আশা করছি। সেভাবেই ওকে তৈরি করব।’’

এশীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশপে বাংলার লিলি দাশ অবশ্য হতাশ করলেন। ১৫০০ মিটার দৌড়ে পনেরো নম্বরে শেষ করলেন। ২০০ মিটারে ব্রোঞ্জ পেলেন দ্যুতি চন্দ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন