Sports News

পঞ্চম ম্যাচে প্রথম জয়ের মুখ দেখল এটিকে

প্রথম তিন পয়েন্ট এল বাইরের মাঠ থেকে। পাঁচের মধ্যে চতুর্থ ম্যাচ ঘরের বাইরে খেলে ফেলল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এবং মোট পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় অষ্টম স্থানে উঠেও এল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ২৩:০৫
Share:

ম্যাচে এটিকের আক্রমণের একটি অন্যতম দৃশ্য। ছবি সৌজন্যে আইএসএল।

মুম্বই সিটি এফসি ০

Advertisement

এটিকে ১ (রবিন ৫৪)

অবশেষে জয় পেল এটিকে। রবিন সিংহের গোলে চতুর্থ আইএসএলে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে প্রথম জয় পেলেন কোচ টেডি শেরিংহ্যাম। প্রথম তিন পয়েন্ট এল বাইরের মাঠ থেকে। পাঁচের মধ্যে চতুর্থ ম্যাচ ঘরের বাইরে খেলে ফেলল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এবং মোট পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় অষ্টম স্থানে উঠেও এল। পরের শনিবার ঘরের মাঠে খেলবে এটিকে।

Advertisement

প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। বেশ কয়েকবার দুই গোলরক্ষককেই উঠতে হয়েছিল নিজেদের দক্ষতার শীর্ষে। গোলের সময় বাঁদিক থেকে জেকুইনিয়ার শট ছিল মুম্বইয়ের গোল লক্ষ্য করে। বল গোলের দিকে যাওয়ার পথে রবিনের বাড়ানো বাঁ-পায়ের ছোঁয়ায় মুম্বই সিটির গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংহের পায়ের তলা দিয়ে চলে গিয়েছিল জালে। এ বারের প্রতিযোগিতায় নিজেদের পঞ্চম ম্যাচের ৫৪ মিনিটে গতবারের চ্যাম্পিয়ন এটিকে এগিয়ে গিয়েছিল প্রথমবার, তা-ও বাইরের মাঠে। ৩৮ মিনিটেই অবশ্য এগিয়ে যেতে পারত এটিকে। ম্যাচের সেরা জেকুইনিয়ার শট সেই বার অবশ্য দুর্দান্তভাবে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন অমরিন্দর। মুম্বইয়ের ভারতীয় গোলরক্ষক আরও দু’বার নিশ্চিত পতন বাঁচিয়েছিলেন দলের। ১৭ মিনিটে টম থর্পের হেড আর ২১ মিনিটে রুপার্টকে বল ছুঁতে না দিয়ে।

এ দিন পাঁচ ফুটবলার পরিবর্তন করেছিলেন টেডি শেরিংহ্যাম, যাঁদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল প্রথমবার ম্যাচের শুরু থেকেই রবি কিন। কিন্তু ইংল্যান্ডে খেলে আসা দিমিতার বের্বাতভের শুরুটা যেমন হয়েছিল চতুর্থ আইএসএল-এ, কিনের ক্ষেত্রেও তেমনই হল। একবার তাঁর জোরালো শট অমরিন্দর বাঁচালেও তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি মুম্বইয়ের গোলরক্ষককে। সরাসরি তাঁর দিকেই গিয়েছিল বল। বরং আগের ম্যাচে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে এসে বিপক্ষের ডিফেন্সকে বিভ্রান্ত করেছিলেন, ততটা দেখা যায়নি মুম্বই ফুটবল এরিনায়। কোচ তাঁকে তুলে নিয়েছিলেন ৮৭ মিনিটে।

আরও পড়ুন: দুবাই ওপেনে রুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল সিন্ধুকে

আরও পড়ুন: আইএসএল-এ ঘরের মাঠে প্রথম হার বেঙ্গালুরুর

ছয় ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানেই থেকে গেল মুম্বই। এবার ঘরের মাঠে প্রথম দুটি ম্যাচ জেতার পর তৃতীয় ম্যাচে কোচ আলেকজান্দ্রে গিমারায়েসকে হার স্বীকার করতে হল। অন্তত বার দুয়েক পেনাল্টির জোরালো আবেদন জানিয়েছিল রণবীর কপূরের দল, রেফারি সাড়া দেননি। গিমারায়েসের দল অবশ্য চেষ্টা ছাড়েনি শেষ পর্যন্ত। দেবজিৎকে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে অন্তত তিনবার দুর্দান্তভাবেই বাঁচাতে হল দলকে, গোটা ম্যাচে আরও বেশ কয়েকবার।

দেখুন এটিকে গোলকিপার দেবজিতের দুরন্ত সেভ

শেষদিকে এক গোলের ব্যবধান ধরে রাখতে রক্ষণাত্মক হতে চেয়েছিলেন শেরিংহ্যাম, যার ফলেই মুম্বইয়ের বারবার আক্রমণ উঠে আসছিল। যে বল পজেশনই ছিল এটিকে-র সবচেয়ে বড় অস্ত্র, শেষ দশ মিনিট বল ছেড়ে খেলতে গিয়েই সমস্যা ডেকে এনেছিল এটিকে। বলবন্ত সিংহ ছয় মিনিটের ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে কর্নারে হেড করার সুযোগও পেয়েছিলেন ফাঁকায়। এটিকের কোনও ডিফেন্ডার তাঁকে মার্ক করেননি তখন। কিন্তু বলবন্তের হেড উড়ে গিয়েছিল বারের ওপর দিয়ে। গোটা ম্যাচে দুই দল সব মিলিয়ে ৪১ ফাউল করেছে, বোঝাই যাচ্ছে কোনও দলই এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি ছিল না। মুম্বই সিটি এফসি তিন দিনের মধ্যেই আবার গুয়াহাটির মাঠে নামবে, নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন