ঘরের মাঠে জয়ের খোঁজে এটিকে

এ পর্যন্ত চার বার হওয়া ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ট্রফি যে দু’টি দল সমানভাগে ভাগ করে নিয়েছে, এ বার লিগ টেবলে তাদের হাল খুবই খারাপ। সেমিফাইনালে যাওয়া নিয়েই প্রশ্ন চিহ্ণ উঠে গিয়েছে স্টিভ কপেল ও জন গ্রেগরির দলের সামনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৩২
Share:

প্রস্তুতি: চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে অনুশীলনে (বাঁ দিক থেকে) রানে, ভিয়েরা ও বিকে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

আইএসএলে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন এটিকে বনাম দু’বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়িন এফসির দ্বৈরথ। শেষ চারে যাওয়ার রাস্তা খুঁজতে ধুন্ধুমার লড়াই আজ, শুক্রবার যুবভারতীতে।

Advertisement

এ পর্যন্ত চার বার হওয়া ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ট্রফি যে দু’টি দল সমানভাগে ভাগ করে নিয়েছে, এ বার লিগ টেবলে তাদের হাল খুবই খারাপ। সেমিফাইনালে যাওয়া নিয়েই প্রশ্ন চিহ্ণ উঠে গিয়েছে স্টিভ কপেল ও জন গ্রেগরির দলের সামনে। ঠিক সেই আবহে দাঁড়িয়ে এটিকে কোচ কপেল বলে দিলেন, ‘‘ভাল দল ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতে। আমরা এখনও সেটা পারিনি। দু’টো ম্যাচই হেরেছি। কাল তাই তিন পয়েন্ট পেতে হবে। ঘরের সমর্থকদের সামনে ম্যাচটা জিততে চাই আমরা।’’ দলের কোচ যখন এ সব বলছেন তখন এটিকের ম্যাচ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই হাজির যুবভারতীর মিডিয়া রুমে। চার ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে আশঙ্কায় ধুঁকতে থাকা কোচ কী বলেন তা শুনতে আগ্রহী তাঁরাও। সকলের মনেই নানা প্রশ্ন। কেন দলের সবচেয়ে দামী দেশীয় ফুটবলার, সেরা মিডিও ইউজেনসন লিংডোকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে? কেন গোল করার লোক এভার্টন স্যান্টোসকে খেলানো হচ্ছে মাঝমাঠে? কেন আক্রমনাত্মক না হয়ে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলছে এটিকে? কেন সেট পিসে গোল খাচ্ছেন জন জনসনরা?

কেরল, জামশেদপুরকে কোচিং করিয়ে আসা কপেল সম্ভবত বোঝেননি তাঁর রণকৌশল বা দল নির্বাচন নিয়ে এ ভাবে নানা প্রশ্ন আছড়ে পড়বে বৃহস্পতিবার দুপুরের যুবভারতীতে। কপেলের হাসি হাসি মুখটা তাই কখনও গম্ভীর হল, কখনও বিরক্তিতে গেল কুঁচকে।

Advertisement

‘‘ছয় ম্যাচ না গেলে বলা যাবে না কে কোথায় যেতে পারে। গোয়া আর বেঙ্গালুরু একটু এগিয়ে। বাকিরা সমান সমান। ঘরের মাঠে বেশি পয়েন্ট তোলাটা জরুরি,’’ বলে সমালোচনা থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন কপেল। তারপর বলে দেন, ‘‘লিংডো খুব ভাল ফুটবলার। তবে এখনও পুরো ফিট নয়। আমার মাঝমাঠে অনেক ফুটবলার। দলে ২৪ জন ফুটবলার। তাদের মধ্যে থেকে সেরা দল বাছতে হয় কোচকে। সেটাই করছি।’’ আর দলের সবথেকে গতিময় ফুটবলার স্যান্টোসকে মাঝমাঠে খেলানোর যুক্তি, ‘‘স্যান্টোসের ফুটবল জীবন দেখলে দেখা যাবে স্ট্রাইকার, উইং, মিডিও সব জায়গায় খেলতে পারে। ও যেমন গোল করতে পারে, তেমনই রক্ষণ সামলাতে পারে।’’

চোট সারিয়ে কালু উচে ফিরেছেন। তিনি এ দিন অনুশীলনও করেন। তা সত্ত্বেও চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে এটিকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবে তার প্রতিশ্রুতি দেননি কপেল। বরং বলে দিয়েছেন, ‘‘আমরা যা গোল খাচ্ছি তার মধ্যে বেশিরভাগই সেট পিস থেকে। আমাদের রক্ষণের আরও উন্নতি করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন