পাঁচ মাসের আইএসএল এবং দু’মাসের সুপার কাপ—ফেডারেশনের প্রস্তাব মেনে ভারতীয় ফুটবলের রোড ম্যাপ এ রকম হলে সমস্যায় পড়তে পারে আতলেতিকো দে কলকাতা। মাদ্রিদের সঙ্গে সে ক্ষেত্রে সম্পর্ক ছিন্ন হলেও হতে পারে কলকাতার।
এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, গত তিন বছরের মতো এ বছরও মাদ্রিদ এবং কলকাতার গাঁটছড়া অটুট থাকবে। কোচ বেছে দেওয়া, বিদেশি ফুটবলার নির্বাচন, স্পেনে গিয়ে প্রাক মরসুম অনুশীলন—সব আগের মতোই থাকবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে লিগ হতে হবে বড়জোর চার মাসের। এর চেয়ে বেশি দিনের লিগ হলে সাহায্য করা সম্ভব নয় বলে নাকি ইঙ্গিত দিয়েছেন মাদ্রিদের কর্তারা।
মাসখানেক আগে কলকাতায় এসেছিলেন মাদ্রিদের দুই প্রতিনিধি। আইএসএলের চতুর্থ সংস্করণের টিম নিয়ে আলোচনা করতে। সেখানে মাদ্রিদের কর্তারা এটিকে-কে বলে যান, তিন মাসের বদলে চার মাসের লিগ হলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তার চেয়ে বেশি দিন হলে ভাল মানের কোচ বা বিদেশি পাঠানো সম্ভব নয়। কারণ খরচ অনেক বেড়ে যাবে। ফুটবলারদের নানা ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিও হয়ে আছে। কলকাতার কর্তারা তাদের জানিয়ে দেন, এখনও তাঁরা সরকারিভাবে কিছু জানেন না। তবে শুনেছেন, পাঁচ মাসের আইএসএল হবে এ বার। সেটা জানার পর না কি ‘আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন’ বলে ফিরে যান মাদ্রিদের টিমের প্রতিনিধিরা। এটিকে সূত্রের খবর, সেই সভার পর গতবারের চ্যাম্পিয়ন টিমের কোচ হোসে মলিনা এবং আতলেতিকো দে মাদ্রিদের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি মেল আসে কলকাতায়। জানতে চাওয়া হয়, ‘‘লিগ কতদিনের হবে জানান। কারণ কোচ ও ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’’ কিন্তু সংগঠক আইএমজি-আরের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি এখনও। ফলে এটিকের পক্ষে থেকেও তা জানানো সম্ভব হয়নি মাদ্রিদকে। কলকাতার কর্তারা অবশ্য আশা করছেন, লন্ডনে সোমবার ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সভায় সব কিছুই জানানো হবে তাদের। ওখান থেকেই মাদ্রিদে ফোন করে টুর্নামেন্টের সময়সীমা সম্পর্কে জানাবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন সঞ্জীব গোয়েন্কা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা।
এ দিকে, কুয়ালা লামপুরের ৭ জুনের এএফসি-র সভায় যোগ দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। আজ শনিবার দুপুর বারোটায় দুই প্রধানের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসছেন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের পাঠানো চিঠি নিয়েই আলোচনা হবে সভায়। যেহেতু লিখিতভাবে দুই প্রধানকে প্রয়োজনে ফের আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রফুল্ল তাই সভায় যোগ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। দুই প্রধানের দুই শীর্ষকর্তা শুক্রবার বললেন, ‘‘এতদিন আমরা বন্ধ ঘরের মধ্যে ফেডারেশন কর্তাদের কাছে নিজেদের দাবি পেশ করেছি। এ বার প্রকাশ্যে সব পক্ষের সামনে সব বলব। নিজেদের কথা বলার এ রকম সুযোগ ছাড়ব কেন?’’